আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে সাত্তার

মতবিনিময় সভায় সরাইলের দুটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতারা অংশগ্রহণ করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ থেকে বিএনপির পদত্যাগী সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার নির্বাচনী প্রচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছেন। 

আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৃহস্পতিবার তিনি সরাইল উপজেলার পরমানন্দপুরে নিজের বাবার নামে করা হাজী মকসুদ আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মতবিনিময় সভা করেন। 

আগামী ১লা ফেব্রুয়ারির এই ইপনির্বাচনে কলার ছড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন আব্দুস সাত্তার। 

মতবিনিময় সভায় দুই ইউনিয়ন পাকশিমুল ও অরুয়াইলের আওয়ামী লীগ নেতাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেছেন। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন পাকশিমুল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজ খান। 

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, পাকশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ।
এ ছাড়া উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বরইচারা, পরমানন্দপুর, ফতেপুর, হরিপুর ও ষাটবাড়িয়া – এই পাঁচ গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। 

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আবু তালেব বলেন, “আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া একজন ভালো মানুষ। উনি জীবনে কারো ক্ষতি করেননি। ১ ফেব্রুয়ারি তারিখে ইনশাআল্লাহ তিনি বিজয়ী হবেন। আমাদের অরুয়াইল ইউনিয়নের ৯০ ভাগ ভোট কলার ছড়াতে যাবে ইনশাল্লাহ।” 

উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া বলেন, “আমি বিএনপির হাই কমান্ডের নির্দেশে পদত্যাগ করি। পরে বুঝতে পারি আমি আমার এলাকার জনগণের কাছে দেওয়া ওয়াদা পূরণ করতে পারিনি। তাই আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে চাইছি। এজন্য আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনারা আমাকে কলার ছড়া মার্কায় ভোট দিয়ে আবার জয়যুক্ত করে প্রক্রিয়াধীন কাজগুলো করার সুযোগ দিন।” 

এ সময় উপস্থিত সবাই এই প্রবীণ নেতাকে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার প্রতিশ্রুতি দেন। 

সভায় পাকশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, “পাকশিমুল ও অরুয়াইল ইউনিয়ন সবাই সাত্তার সাহেবের নির্বাচনী প্রচারণার সভায় অংশগ্রহণ করেছি। আমার পাশের ইউনিয়ন অরুয়াইল আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব সাহেবও এই সভায় অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন।” 

গত ১৪ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন আওয়ামী লীগের তিন নেতা দলের জেলা যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন ও শাহজাহান সাজু। 

বুধবার বিবৃতি দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা। 

এর ফলে আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেন জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ। 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে যাচ্ছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া। তিনি এই আসনে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। 

সভায় আরও আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার, সৌদী আরব বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক রিফাত বিন জিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা কুতুবুল আলম, আইয়ুব খানও উপস্থিত ছিলেন।