লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলাম দণ্ডিত ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান পিপি জসিম উদ্দিন।
সাজাপ্রাপ্ত মো. ইসমাইল হোসেন সুজন সদর উপজেলায় চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ ছাড়া সুমি বেগম নামে একজনকে খালাস দিয়েছে আদালত।
মামলার বরাত দিয়ে পিপি জানান, ২০১৮ সালে রৌশন আক্তার লিপি ও ইসমাইল হোসেন সুজনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর লিপি জানতে পারেন সুজনের অন্য সম্পর্ক আছে। এ নিয়ে বিবাদের ফলে সুজন নানা সময় লিপিকে মারধর করতেন।
পিপি বলেন, ২০২০ সালের ২ মে সকালে সুজনের সঙ্গে লিপির ঝগড়া হয়। এদিন দুপুরে লিপির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লিপির মা আলেয়া বেগম বাদী হয়ে সুজন ও অন্য এক নারীর নামে চন্দ্রগঞ্জ থানায় আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলা করেন।
“পরে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানা যায় লিপিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।”
২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি দুইজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
এ রায়ে আদালত আসামি সুজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।