সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে গাছ ভেঙে পড়ে যানচলাচল বন্ধ আছে বলে জানান শিক্ষক ইয়াকুব শাহরিয়ার।
Published : 01 Apr 2024, 12:11 AM
সিলেট ও সুনামগঞ্জে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন অনেকে। ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে চলন্ত অটোরিকশার চার যাত্রী আহত হয়েছেন।
রোববার রাত ১০টা ২০ মিনিটের পর বাতাসের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় সিলেট নগরীতে পথচারীসহ মানুষজন রাস্তায় আটকে পড়েন।
এদিকে সুনামগঞ্জে ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে হাওরের আগাম জাতের ধানের ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, “রাত সোয়া ১০টায় তীব্র বেগে ঝড় আসে। সঙ্গে বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঝড়ে গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
সুনামগঞ্জ শহরের নারী উদ্যোক্তা সৈয়দা ফারহানা ইমা বলেন, “ঝড়ে শহরের বিভিন্ন সড়কে গাছপালা ভেঙে পড়েছে। কালীবাড়িতে একটি চলন্ত অটোরিকশার উপর গাছ ভেঙে পড়ে চালক ও তিন নারী আহত হয়েছেন।”
শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজার হাইস্কুলের শিক্ষক ইয়াকুব শাহরিয়ার বলেন, “ঝড়ে পাগলা বাজারের টিনশেডের কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কে গাছপালা ভেঙে পড়ায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
সুনামগঞ্জ শহরের ইকবাল নগরে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে গাছ ভেঙে পড়ে যানচলাচল বন্ধ আছে বলে জানান শিক্ষক ইয়াকুব শাহরিয়ার।
এ দিকে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে রাত সোয়া ১১টায় আবারও বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়েছে।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, “ঝড়ের সঙ্গে মাঝারি শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে হাওরের আগাম ধানের জাতের কিছু ক্ষতি হতে পারে। আমরা সব জায়গায় খবর পাঠিয়েছি।”
তবে এখন হাওরে ফসলের ক্ষতি তেমন হবে না বলে জানান তিনি।
এদিকে সিলেট নগরীর আম্বারখানা পয়েন্টে থাকা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের শামসুল আলম সেলিম বলেন, “আজকে যে বড় আকারে শিলা পড়েছে; তা আমরা ছোটবেলায় দেখেছি। এত বড় আকারে শিলাবৃষ্টিতে কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।”
নগরীর টিলাগড়ের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান বলেন, “শিলাবৃষ্টির কারণে এয়ারপোর্ট এলাকায় আটকা পড়েছিলাম। যে বড় পাথর পড়েছে তা আগে আর দেখিনি। পুরো শহরেই শিলাবৃষ্টি হয়েছে।”
রায়নগরের বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম অনি বলেন, “সিলেটে এত বড় শিল পড়া আমি প্রথম দেখেছি। এর আগে শিলাবৃষ্টি হলেও এত বড় শিল পড়েনি। যে আকারে শিল পড়েছে এতে অনেকের বাসা বাড়ির ক্ষতি হয়েছে।”