গত বছরের ২১ নভেম্বর ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার।
Published : 28 Jan 2025, 08:25 PM
১৮ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকার সাভারের চামড়াশিল্প নগরীর বিভিন্ন ট্যানারিতে কর্মরত শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ব্যানারে এই কর্মবিরতি শুরু করেন শতাধিক শ্রমিক। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে হলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
শ্রমিকরা জানান, অন্যান্য সেক্টরে ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার পরপর তা বাস্তবায়ন হলেও ট্যানারি শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত মজুরি এখনো বাস্তবায়ন করেননি মালিকরা। নানা বাহানায় মালিকপক্ষ শুধু সময়ক্ষেপণ করছেন।
তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই শিল্পের শ্রমিকেরা।
ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সদস্য ও শিল্প নগরীর এপেক্স ট্যানারিতে কর্মরত নিলুফাসহ বেশ কয়েকজন নারী শ্রমিক জানান, সরকার তাদের জন্য মোট পাঁচটি গ্রেডে মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করেছে।
যেখানে সর্বনিম্ন মজুরি ১৮ হাজার এক টাকা এবং সব পক্ষের সম্মতিতেই এই মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু মালিকরা এখন এসে বলে এই মজুরি তাদের জন্য বেশি হয়ে গেছে।
“আমরা ট্যানারি শ্রমিকরা দিনরাত খেটে আট থেকে ১০ হাজার টাকা বেতন পাই। এই বেতনে কি কারও সংসার চলে? আমাদের ঘাম ও শ্রমে মালিকরা কোটি কোটি টাকা আয় করছেন, কিন্তু ন্যূনতম মজুরি, আমাদের অধিকার আমাদের বুঝিয়ে দিয়ে মালিকদের কষ্ট হয়”, বলেন নিলুফা।
ট্যানারি শ্রমিক ফারুক হোসেন বলেন, গত বছরের ২১ নভেম্বর সরকার ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে। মালিক শ্রমিক যৌথ আলোচনার মাধ্যমেই এই মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু গেজেট প্রকাশ হলেও এখনো তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নের দাবিতে তাদের এই আন্দোলন শুরু হয়েছে; দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, “ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করার পর থেকে বিভিন্ন সময় মালিকপক্ষের সঙ্গে বহুবার আলোচনা করেছি। কিন্তু কোনোভাবেই তারা মজুরি বাস্তবায়ন করেনি। তাই বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন।”
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, বিষয়টি নিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত এই সংকটের একটি সুন্দর সমাধান হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।