“সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে এবার ভারতীয় পোশাক আসেনি। তবে সেই জায়গা পূরণ করছে পাকিস্তানি পোশাক”, বলেন এক ব্যবসায়ী।
Published : 20 Mar 2025, 02:04 PM
রোজার মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এবার রাজশাহীতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। প্রতিবছর ঈদে নগরের বিপণি বিতানগুলোতে ভারতীয় পোশাকের দাপট থাকলেও এবার সেই জায়গা দখল করেছে পাকিস্তানি পোশাক।
তবে বাজারে পোশাকের চড়া দামের কারণে এবারের কেনাকাটা আগের তুলনায় অনেকটাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
পোশাক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতিবছর ভারতীয় পোশাকের আধিপত্য থাকলেও এবার তা দেখা যাচ্ছে না। সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে ভারতীয় পোশাক আমদানি ব্যাহত হয়েছে। এর বদলে রাজশাহীর বাজার দখল করেছে পাকিস্তানি পোশাক; যা তুলনামূলক বেশি দাম হলেও বেশ চাহিদা তৈরি করেছে।
সাহেব বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন, “সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে এবার ভারতীয় পোশাক আসেনি। তবে সেই জায়গা পূরণ করছে পাকিস্তানি পোশাক। দেশি পোশাকের পাশাপাশি পাকিস্তানি পোশাকও ভালো বিক্রি হচ্ছে।”
তবে গত বছরের তুলনায় পোশাকের দাম বাড়তি হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাজারে আসা অনেক ক্রেতা। ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন, “গত বছরের তুলনায় এবার পোশাকের দাম বেশি। যে বাজেট করেছিলাম, তাতে কেনাকাটা সম্ভব হচ্ছে না, বাধ্য হয়ে বাজেট বাড়াতে হচ্ছে।”
একই কথা বলেছেন স্কুল শিক্ষিকা আনজুয়ারা খাতুন। তিনি বলেন, “পোশাকের দাম বাড়ায় এবার আগের চেয়ে কম কিনতে হচ্ছে। আমাদের আয় বাড়েনি, কিন্তু খরচ বেড়েছে, ফলে বাজেটের সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।”
বাজার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে রাজশাহী বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অসক শাহা বলেন, “বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম, কারণ সকার হাতে পর্যাপ্ত টাকা নেই। বিশেষ করে একটি দলের নেতাকর্মীদের পালিয়ে থাকার প্রভাব বাজারেও পড়েছে। ফলে গত বছরের তুলনায় এবার বেচাকেনা অর্ধেকে নেমে এসেছে।”
তবে মার্চের বেতন-বোনাস পাওয়ার পর বিক্রি কিছুটা বাড়তে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এদিকে ঈদ বাজারকে ঘিরে নগরের বিপণি বিতানগুলোর নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্রা ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, নগরীতে পুলিশের টহল ও চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে।
এ ছাড়া ব্যবসায়ীরা ব্যাংকে টাকা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।