হিরো আলমের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, তার দাবি ‘বানোয়াট’

হিরো আলমের দাবি, রুবেল ল্যাপটপ ও চ্যানেলের পাসওয়ার্ড বাবদ তার কাছে ৯০ হাজার টাকা দাবি করেছেন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তিনি ল্যাপটপ ও পাসওয়ার্ড উদ্ধার করেন।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 August 2022, 02:18 PM
Updated : 7 August 2022, 02:18 PM

হিরো আলমের বিরুদ্ধে গাজীপুরের একটি থানায় অর্থ আত্মসাৎ ও হত্যার হুমকির অভিযোগ দিয়েছেন এক তরুণ।

তবে অভিযোগটি ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ বলে দাবি করছেন হিরো আলম।

শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, শুক্রবার হিরো আলম ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রুবেল মুন্সি (২২)।


রুবেল কুমিল্লার মতলব উপজেলার বড়ইলদা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটিতে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।

আসামিরা হলেন বগুড়া সদরের রুলিয়া বাজারের আশরাফুল হোসাইন ওরফে হিরো আলম (৩৫) ও তার দুই সহযোগী মো. লিমন (২৫) ও মো. শুভ (৩০)।

রুবেল মুন্সির অভিযোগে বলা হয়, তিনি হিরো আলমের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। ২০২১ সালে তার কাছ থেকে হিরো আলম ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। তার সাত মাসের জমা রাখা বেতন ও ধার মিলিয়ে মোট পাওনা ৯০ হাজার টাকা ফেরত চাইলে হিরো আলম দেই-দিচ্ছি বলে তালবাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে পাঁচ মাস আগে চাকরি ছেড়ে রুবেল গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় হিরো আলম অভিযোগে উল্লেখিত দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে রুবেলের বর্তমান অফিসে আসেন। পরে টাকা দেওয়ার কথা বলে তাকে প্রাইভেটকারে তুলে মেডিকেল মোড়ে নিয়ে যান। সেখানে অজ্ঞাত লোকদের সহযোগিতায় রুবেলের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপসহ জি-মেইল আইডি ও ফেইসবুক আইডির পাসওয়ার্ড নিয়ে তাকে রাত আনুমানিক ৩টায় ছেড়ে দেন।

এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিলে কিংবা বেশি বাড়াবাড়ি করলে জানমালের ক্ষতি করার হুমকিও দেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে হিরো আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “রুবেল আমাকে ব্ল্যাকমেইল করেছে। সে আমার এখানে চাকরি করত না। যদি চাকরিই করত তাহলে আমাকে ডকুমেন্ট দেখাতে বলবেন।”

তিনি আরও বলেন, “আমি লেখাপড়ায় কম, ইংরেজি খুব বেশি ভালো বুঝি না। এ সুযোগে কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে আমার ল্যাপটপসহ চ্যানেলের আইডি নিয়ে গিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় রুবেল। আমার একটি ইউটিউব চ্যানেল লাখ টাকায় বিক্রিও করে দেয়। পরে চ্যানেলটি যিনি ব্যবহার করছিলেন তার সাথে যোগাযোগ করে রুবেলের সম্পৃক্ততা পাই।”

হিরো আলম আরও বলেন, “তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে উল্টো সে ল্যাপটপ ও চ্যানেলের পাসওয়ার্ড বাবদ আমার কাছে ৯০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে শ্রীপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় আমি তার কাছ থেকে ল্যাপটপ ও আইডি পাসওয়ার্ড নিয়ে নিই।”

তার কাছে সকল ঘটনার ভিডিও আছে বলে জানান হিরো আলম।

শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, “হিরো আলম বা রুবেল যাই বলুক না কেন আমরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। এর মধ্যেই একজন পরিদর্শককে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”