“এখন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আইনগত কোনো সুযোগ নেই; কোনো প্রার্থী যদি কার্যক্রম না চালায় সেটি তার নিজস্ব বিষয়।”
Published : 16 Jun 2023, 09:15 PM
কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে; এমনকি প্রার্থিতাও বাতিল করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা।
শুক্রবার সকালে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সিটি নির্বাচন ঘিরে কমিশনের সতর্ক অবস্থানের কথা জানিয়ে রাশিদা সুলতানা বলেন, “রাজশাহীতে প্রচার প্রচারণার ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত বড় কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা চোখে পড়েনি। প্রার্থীদের আরচণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে।”
ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনের কাঠামোয় যা যা দরকার তার সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
“প্রয়োজন মতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।”
হাতপাখার প্রার্থীর ভোটে না থাকা নির্বাচনে কোনো প্রভাব পেলবে কিনা প্রশ্ন করা হলে রাশিদা বলেন, এখন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আইনগত কোনো সুযোগ নেই। কোনো প্রার্থী যদি ভোটের কার্যক্রম না চালায় সেটি তার নিজস্ব বিষয়। অন্য প্রার্থীরা তো আছেন। তারা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটের কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
এ ছাড়া কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের সচেতন করতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও প্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানান এ নির্বাচন কমিশন।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১২ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ সিটির ৩০টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৪৫ জন; যার মধ্যে ৩০ হাজার নতুন ভোটার। আগামী ২১ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর ভোটে সরকারের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলে রাজশাহীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে এর আগে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়ে গেছে।