হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে কিনা জানতে ইউএনও এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
Published : 21 Apr 2024, 02:08 PM
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় তীব্র তাপদাহের মধ্যে বাড়ির উঠানে কাজ করার সময় এক গৃহবধূর মৃত্যু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে কিনা জানতে ইউএনও এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
রোববার সকাল ৮টায় উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের রুয়েরকান্দি গ্রামে এই নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নোমাজ আলী।
মারা যাওয়া ৪৫ বছরের শিল্পী খাতুন ওই গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী এবং পার্শ্ববর্তী আমতৈল গ্রামের বিল্লাল মালিথার মেয়ে।শিল্পী খাতুনের দুটি ছেলে আছে।
শিল্পী খাতুনের চাচাতো বোন তছলিমা খাতুন জানান, গত কয়েক দিনের মতো রোববার সকাল থেকে শুরু হয়েছে তীব্র তাপদাহ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে শিল্পী খাতুন নিজ বাড়িতে উঠানে কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ স্ট্রোক করে মারা যান তিনি।
এর আগে তাপদাহে ৩ দিন ধরে শিল্পী খাতুন জ্বর এবং বমিতে অসুস্থ ছিলেন বলে জানান এই স্বজন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন যাবৎ মেহেরপুর ও পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার উপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যায় ৬টা পর্যন্ত মেহেরপুর জেলার তাপমাত্রা ছিল ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র তাপদাহে শ্রমজীবী মানুষসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান বলেন- জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বইছে। এর মধ্যে গাংনী উপজেলায় নারীর মৃত্যুটি হিটস্ট্রোকে হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে ইউএনও এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈরী আবহাওয়ার হাত থেকে মুক্তি পেতে সকলকে অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হতে এবং নিজেকে সুস্থ রাখার নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং করা হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।