“স্বয়ম্ভরতার তথ্য নিয়ে বেশ গরমিল দেখা যাচ্ছে,” বলেন অধ্যাপক মহি উদ্দিন।
Published : 05 May 2024, 12:17 AM
দেশে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনের যে পরিসংখ্যান প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর দেখিয়েছে তা ‘অতিরঞ্জিত’ বলে দাবি করা হয়েছে এক কর্মশালায়।
শনিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে ‘ওয়ার্কশপ অন ডেইরি ইন্ডাস্ট্রি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টিগ্রেটেড ডেইরি রিসার্চ নেটওয়ার্কের (আইডিআরএন) এক গবেষণার বরাতে নেটওয়ার্কের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ মহি উদ্দিন বলেন, দেশে গত বছর দুধ উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ১ লাখ ৮২ হাজার টন। অথচ সেটিকে ১ কোটি ৫২ লাখ ৫২ হাজার টন হিসাবে দেখিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
সেই হিসাবে দুধের উৎপাদন ৫০ লাখ ৭০ হাজার টন বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে বলে ভাষ্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু পুষ্টি বিভাগের এই অধ্যাপকের।
বাংলাদেশের ডেইরি শিল্প বিষয়ে গবেষণার তথ্য উপস্থাপন করে ড. মহি উদ্দিন বলেন, গত বছরে দেশে তরল দুধের চাহিদা ছিল ১ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার টন। এই চাহিদার মাত্র ৬৫ শতাংশ উৎপাদনের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব হয়েছে।
“যদিও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে গত বছরে প্রায় ৯৭ শতাংশ দুধের চাহিদা উৎপাদনের মাধ্যমে পূরণ করা হয়েছে। ফলে স্বয়ম্ভরতার তথ্য নিয়ে বেশ গরমিল দেখা যাচ্ছে।”
পশু পুষ্টি বিষয়ের শিক্ষক মহি উদ্দিন বলেন, গত বছর চিজ, বাটার, দধিসহ অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্যের চাহিদার মাত্র ৫৬ শতাংশ উৎপাদনের মাধ্যমে পূরণ করা হয়েছে। যদিও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, প্রায় ৮৩ শতাংশ চাহিদা দেশে উৎপাদনের মাধ্যমে পূরণ হয়েছে।
একইভাবে আইডিআরএনের হিসাবে, ২০২৩ সালে প্রতিদিন জনপ্রতি মানুষের তরল দুধের চাহিদা ছিল ২৫০ মিলিলিটার। সে হিসাবে প্রতিদিন দেশে চাহিদা ছিল ৪২ হাজার ৯৩২ টন, আর বছরে চাহিদা ১ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার টন।
কিন্তু প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর তা বাড়িয়ে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার টন দেখিয়েছে বলে কর্মশালায় দাবি করা হয়।
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা। প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরলা ফুড বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লরেন্ট পন্টি।