আটক ১৬ জেলের মধ্যে ১২ জনের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে ছয়টি মামলা করেছে নৌ পুলিশ।
Published : 13 Mar 2025, 02:27 PM
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে জাটকা শিকারে দায়ে আটক তিন জেলেকে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ ছাড়া আলাদা একটি অভিযানে আটক ১৬ জেলের মধ্যে ১২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মৎস্য আইনে ছয়টি মামলা করেছে নৌ পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
এর আগে বুধবার বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সদর উপজেলার মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকার হরিণা ও আশপাশের এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মৎস্য বিভাগ ও কোস্ট গার্ড।
এ সময় জাটকা ধরা অবস্থায় তিন জেলেকে আটক করা হয়। এ ছাড়া তাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও একটি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়।
পরে রাতে চাঁদপুর কোস্ট গার্ড স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তিন জেলেকে দুই হাজার টাকা করে মোট ছয় হাজার টাকা জরিমানা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী হাকিম আসাদুজ্জামান সরকার এবং নাহিদ ইকবাল।
সেইসঙ্গে জেলেদের কাছ থেকে জব্দ করা জাল আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট এবং মাছ ধরার নৌকাটি কোস্ট গার্ড হেফাজতে রয়েছে বলে জানান নির্বাহী হাকিম।
নৌ পুলিশের অভিযানে ১৬ জেলে আটক
মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে ইলিশ শিকার করায় ১৬ জেলেকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি বেহুন্দি জাল, ছয়টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা, আট লাখ ১৫ হাজার ৭০০ মিটার কারেন্ট জাল এবং ১৩০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়।
দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর নৌ থানার ওসি কে এম এস ইকবাল।
নৌ-পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা ও মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে নৌ-পুলিশ। এ সময় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জামাল-৮ থেকে ১২টি চায়না চাই জব্দ করা হয়।
এ ছাড়া চাঁদপুর মোহনা, লগিমারা-চর রাজরাজেশ্বর, আমিরাবাদ লাল বয়া ও বহরিয়া এলাকা থেকে অবৈধভাবে মাছ ধরার সময় ১৬ জেলেকে আটক করা হয়।
আটক ১৬ জেলের মধ্যে ১২ জনের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ছয়টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। বাকি চারজন কিশোর হওয়ায় তাদের মুচলেকা রেখে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জব্দ করা কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে। এ ছাড়া জব্দ করা জাটকা দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
ওসি ইকবাল বলেন, বিশেষ অভিযানের ফলে ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম আরও জোরদার হবে। জনগণের সহযোগিতায় মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে অভিযান অব্যাহত রাখবে চাঁদপুর নৌ থানা।