এ ছাড়া গ্রাম পুলিশের স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
Published : 08 Apr 2025, 07:53 PM
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরে এক গ্রাম পুলিশের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া গ্রাম পুলিশের স্ত্রীকে শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে বাউফল সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর কায়না গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন।
ঘটনার দুই দিন পর শনিবার গ্রাম পুলিশ জসিম মুন্সির স্ত্রী সালমা বেগম বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।
আসামিরা হলেন- কায়না গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেন মৃধার ছেলে মো. সুমন (৪০), তার বড় ভাই জালাল (৫০), একই এলাকার মো. জামাল, একই এলাকার সোহরাব সিকদারের ছেলে সোহাগ (৩৮), নবী আলী মৃধার ছেলে মো. জাহাঙ্গির (৪৫), জালাল মৃধার ছেলে ইমন (২০), দেলোয়ার মৃধার ছেলে মো. হাসান (৪৫), শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে রাহাত (২২) এবং হায়দার আলী হাওলাদারের ছেলে মো. শাহজাহান হাওলাদার (৬০)।
মামলায় বলা হয়েছে, জসিম মুন্সি দীর্ঘদিন ধরে বাউফল ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশের চাকরি করে আসছেন। আসামিদের সঙ্গে বাদীপক্ষের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিভিন্ন সময় আসামিরা তাদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছেন।
ঘটনার দিন সকালে আসামিরা ধারাল অস্ত্র নিয়ে জসিম মুন্সির বসতঘরে ঢুকে তার খোঁজ করেন। তাকে না পেয়ে আসামিরা বসতঘরের আসবাবপত্র ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে ৯০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেন। এতে বাধা দিলে আসামিরা জসিম মুন্সির স্ত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন।
এক পর্যায়ে আসামিরা জসিম মুন্সির স্ত্রীর গলায় থাকা এক লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসলে আসামিরা চলে যান।
ওসি কামাল হোসেন বলেন, মামলাটি এজাহার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে মামলার প্রধান আসামি সুমন মৃধাকে একাধিকবার মোবাইল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।