বাগেরহাট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ঝুমুর বালা নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
Published : 31 Dec 2024, 09:31 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বাগেরহাটের জেলা পরিষদে হামলা ও ভাঙচুরে ক্ষয়ক্ষতির যে হিসাব কর্তৃপক্ষ দিয়েছিল তাতে ‘গড়মিল’ দেখছে দুদক।
বিষয়টি তদন্তে মঙ্গলবার দুপুরে দুদক সমন্বিত বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এ সময় তারা জেলা পরিষদের গেইট, ভবনের সামনে থাকা ম্যুরালসহ ভবনের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ঝুমুর বালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুদক ও জেলা পরিষদ জানায়, সরকার পতনের পর ১২ অগাস্ট স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে বাগেরহাট জেলা পরিষদের কাছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়। এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ অগাস্ট ঝুমুর বালা স্বাক্ষরিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের একটি তালিকা পাঠানো হয়।
ওই চিঠিতে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার ক্ষতি দেখানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, জেলা পরিষদ আঙ্গিনার সামনের ম্যুরাল, জেলা পরিষদের গেইট ও প্রাচীর এবং সিসি ক্যামেরা ভাঙচুরের ফলে ক্ষতি হয়েছে।
পরিদর্শন শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার বেশি হবে না।
“পরিদর্শনে প্রাপ্ত তথ্য ও কিছু কাগজপত্র নিয়েছি। সেসব পর্যালোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুদক প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে।”
অভিযানের সময় সাংবাদিকরা বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ঝুমুর বালার কাছে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, তিনি যে তালিকা দিয়েছেন সেটি সঠিক। বাড়তি কোনো চাহিদাপত্র দেওয়া হয়নি।
তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।