মায়ের বাধার মুখে কর্মকর্তারা কিশোর আরাফাতের কবর জিয়ারত করে ফিরে যান।
Published : 05 Feb 2025, 09:18 PM
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মায়ের বাধায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত কিশোর আরাফাতের লাশ কবর থেকে না তোলেই ফিরেছে প্রশাসন।
দাফনের ৬ মাস পর আরাফাতের লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।
সে অনুযায়ী বুধবার দুপুরে মুকসুদপুর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ছোট বনগ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে আরাফাতের লাশটি উত্তোলন করতে আসে প্রশাসন।
তখন বাধা দিয়ে ছেলের লাশ কবর থেকে না তুলতে প্রসাশনের কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন আরাফাতে মা মায়া বেগম।
এ অবস্থায় লাশ উত্তোলনের কার্যক্রম বন্ধ করে আরাফাতের কবর জিয়ারত করে ফিরে যান প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত বছরের ৫ অগাস্ট আশুলিয়া থানার সামনে গুলিতে নিহত হয় অষ্টমশ্রেণি পড়ুয়া আরাফাত। তার বাবা স্বপন মুন্সী পেশায় দিনমজুর; মা মায়া বেগম কাজ করেন একটি পোশাক কারখানায়।
সে সময় আশুলিয়ায় বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া আরাফাত বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকার আশুলিয়ায় বসবাস করতো।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম প্রবীর বিশ্বাস
বলেন, “আদালতের নির্দেশে কর্মকর্তাদের নিয়ে শহীদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন করতে যাই। তখন তার মায়ের বাধা ও আর্তনাদে মরদেহ উত্তোলন বন্ধ করা হয়। পরে আমরা আরাফাতের কবর জিয়ারত শেষে ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।”
এ সময় তার সঙ্গে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিকেশন- পিবিআইর ঢাকা জেলার এসপি কুদরত ই খুদা, মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল, পিবিআইয়ের পরিদর্শক গোবিন্দ লাল, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শহিদুল ইসলাম ছিলেন।