ওই ছাত্রদল নেতার দাবি, দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে।
Published : 22 Mar 2025, 07:15 PM
লক্ষ্মীপুরে কলেজ শিক্ষার্থীর ওপর হামলার বিচার চাইতে থানায় গিয়ে ছাত্রদল নেতার মারধরের শিকার হন আরেক শিক্ষার্থী।
শনিবার দুপুর ১টার দিকে থানার ভেতরে এ ঘটনা ঘটে বলে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, পৌর শহরের বাইশমারা এলাকায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ বাহারকে মারধর করেন চালকসহ স্থানীয় লোকজন।
ইনস্টিটিউটের আরেক শিক্ষার্থী ইলমান ফারাবি বলেন, “ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে আমাদের এক শিক্ষার্থীকে মারা হয়েছে। আমরা থানায় বিচার চাইতে এলে এখানে আমার ওপর হামলা করেন পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম সৈকত।”
এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবিতে থানা গেইটে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম সৈকত বলেন, “রিকশা ভাড়া নিয়ে পলিটেকনিকের সামনে ছাত্রের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তারা পৌর ১২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি বিপ্লবকে ধরে এনে মারধরের হুমকি দেয়। ঘটনাটি জানতে থানায় এলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে তেড়ে আসে। এসময় তাদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়।”
তখন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ রেজাউল হক, সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ, জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক একেএম ফরিদ উদ্দিন ও লক্ষ্মীপুর শহর জামায়াতের আমীর আবুল ফারাহ নিশান তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।
পরে ওসির কক্ষে বৈঠকে বসেন দুপক্ষের লোকজন।
বৈঠকের বরাতে ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, “অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দুপক্ষকে শান্ত থাকার জন্য বলা হয়েছে। ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় অটোচালকের বিরুদ্ধে মামলা এবং পরের হামলার ঘটনায় দলীয়ভাবে সমঝোতা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”