“তিনি চাল যার কাছ থেকেই ক্রয় করুক তা অবৈধ। তিনি খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত চাল জেনেশুনে কিনতে পারেন না।”
Published : 23 Jan 2025, 04:15 PM
বাগেরহাটের ফকিরহাট বাজারের একটি গুদামে অভিযান চালিয়ে খোলা বাজারের বিক্রির (ওএমএস) ৬০০ বস্তা চাল জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুইজনকে।
বুধবার রাতে ফকিরহাট বাজারের মেসার্স মজুমদার ভান্ডারের সুপারিপট্টি এলাকার গুদাম থেকে এসব চাল জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন ফকিরহাট থানার ওসি এস এম আলমগীর কবীর।
গ্রেপ্তাররা হলেন, ফকিরহাট বাজারের মেসার্স মজুমদার ভান্ডারের মালিক প্রফুল্ল মজুমদারের ছেলে আশাতীত মজুমদার (২১) ও কর্মচারী আব্দুর রসূল (৪৫)।
ওসি এস এম আলমগীর কবীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পাই সুপারিপট্টি এলাকার চালের গুদামে সরকারের ওএমএস কর্মসূচির বিপুল চাল মজুদ করা হয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখি সরকারের খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত বস্তা পরিবর্তন করে আরেকটি ব্র্যান্ডের বস্তায় চাল ঢুকাচ্ছেন গুদাম মালিক।
এ সময় মালিকের ছেলে আশাতীত মজুমদার ও কর্মচারী রসুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গুদামে মজুদ করা ৬০০ বস্তা চাল জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
চাল ব্যবসায়ী প্রফুল্ল মজুমদারের দাবি, তিনি বগুড়ার করতোয়া চাল মিলের প্রতিষ্ঠান মেসার্স আসিফ এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে ৩০ কেজি ওজনের মোট ৬৬৭ বস্তা চাল ৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকায় কিনে এনে গুদামে মজুদ করেছেন।
এ বিষয়ে ওসি বলেন, “চাল ব্যবসায়ী বগুড়া থেকে নগদ টাকায় চাল ক্রয় করেছেন তার কাগজপত্র হাতে পেয়েছি। তবে তিনি চাল যার কাছ থেকেই ক্রয় করুক তা অবৈধ। তিনি খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত চাল জেনেশুনে কিনতে পারেন না। সরকার এই চাল নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খোলা বাজারে বিক্রি করে থাকে।”
এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে ফকিরহাট থানার এসআই আব্দুল আলিম বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেছেন।
ওসি আরও বলেন, দুপুরে গ্রেপ্তারদের আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত আরও যাদের নাম আসছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।