“আমাদের মূল উদ্দেশ্য বছরের যাবতীয় জঞ্জাল ও অন্ধকার নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে বোধের প্রদীপ জ্বালানো৷”
Published : 14 Apr 2025, 02:01 PM
‘মরা নদীর আন্ধারে বোধের প্রদীপ জ্বালি’- প্রতিপাদ্যে নারায়ণগঞ্জে চৈত্র-সংক্রান্তি ও আলোর ভাসানের আয়োজন করেছে নাট্য সংগঠন ‘উঠান থিয়েটার’৷
রোববার সন্ধ্যায় শহরের পাঁচ নম্বর খেয়াঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে ভাসান গানের সঙ্গে প্রদীপ ভাসিয়ে এ আয়োজন শুরু হয়৷
উঠান থিয়েটারের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয় বলে সংগঠকটির সমন্বয়ক প্রসেনজিৎ দাস জানিয়েছেন৷
তিনি বলেন, “আমি নারায়ণগঞ্জের সন্তান৷ এ শীতলক্ষ্যা নদীর প্রতি আমার অনেক ঋণ ও দায়বদ্ধতা আছে৷ উঠান থিয়েটার এ নদীর পাড়ে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল৷ ওই দিনটিকে স্মরণ করে ১১তম বর্ষে চৈত্র-সংক্রান্তি ও আলোর ভাসানের আয়োজন করা হয়েছে।”
“এখানে নারায়ণগঞ্জের শিল্পীরা বিভিন্ন পরিবেশনা করেছেন। আমাদের মূল উদ্দেশ্য বছরের যাবতীয় জঞ্জাল ও অন্ধকার নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে বোধের প্রদীপ জ্বালানো৷”
চৈত্র-সংক্রান্তি অনুষ্ঠানে কবিতা, বাঁশির সুর, নাচ ও পারফর্মিং আর্ট পরিবেশন করা হয়।
হংসধ্বনি রাগে বাঁশি বাজান নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় শিল্পী তপু দাস৷ একক গান পরিবেশ করেন শিল্পী নীল আচার্য্য, কৃষাণ বর্মন, দীপ বাপ্পী, রঞ্জন কিশোর, রবি বাউল ও ইকবাল৷
এছাড়া ‘নিষিদ্ধ’ ও ‘গঙ্গাফড়িং’ গানের দলের পরিবেশনাও ছিল৷ কবিতা আবৃতি করেন মাসুদ হাসান ও বিপ্লব সাহা৷
এ আয়োজনে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শিল্পী রফিউর রাব্বি৷ তিনি তার বক্তব্যে সংকটাপন্ন শীতলক্ষ্যা নদী রক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদ দেন৷
অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রদান করা হয় শীতলক্ষ্যার বুকে বৈঠা বেয়ে যৌবন কাটানো প্রবীণ মাঝি আব্দুল জলিলকে। এ সময় তিনি তার অভিজ্ঞতা, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন শীতলক্ষ্যায় নৌকা চালানোর অভিজ্ঞতার কথা জানান৷
শীতলক্ষ্যা নদীর বিদ্যমান অবস্থাকে ‘নদী মরে গেছে’ উল্লেখ করে আক্ষেপ প্রকাশ করেন জলিল।