“ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় রান্নাবান্না বন্ধ থাকায় শুকনা খাবার খেতে হয়েছে।”
Published : 15 Sep 2024, 10:10 PM
শরীয়তপুরে টানা বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।বিভিন্ন অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি উঠেছে অনেক বাসাবাড়িতেও।
শুক্রবার রাত থেকে জেলায় অবিরাম ভাবে দমকা হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বেগে বৃষ্টি ঝরছে। এ অবস্থায় জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাশাপশি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক চলাচল।
পানি নামার কোন রাস্তা বা ড্রেন না থাকায় স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে কাজ না পেয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
গত তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে শরীয়তপুর পৌর শহরের নিরালা আবাসিক এলাকা, শান্তি নগর, হরিসভা, বাঘিয়া, বাসস্ট্যান্ড ও দার্সাত্তা এলাকা হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া পালং উত্তর বাজার ও কোতোয়াল বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পানিতে অনেকের মাছের ঘেরও ভেসে গেছে।
রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, সিভিল সার্জন অফিস এলাকা, শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মোড়, জেলা ডাকঘরের সামনে, শরীয়তপুর পৌরসভার পেছনে, সাবনুর মাকের্ট ও চর পালং এলাকা পানিতে তলিয়ে আছে।
ওইসব এলাকার অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে পানি উঠে গেছে। সড়কে পানি জমে থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। পানিবন্দি পরিবারগুলো দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে।
শরীয়তপুর পৌরসভার শান্তি নগর বাসিন্দা গৃহবধূ রোকেয়া বেগম বলেন, “ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় শনিবার রাতে রান্নাবান্না বন্ধ থাকায় শুকনা খাবার খেতে হয়েছে। এখন বাবার বাড়ি যাচ্ছি; এখানে থাকার পরিবেশ নেই।”
শহরের রিকশা চালক বাবুল বেপারী বলেন, “তিনদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিতে খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি। রাস্তাঘাটগুলো গর্ত হয়ে গেছে; পানিতে পাকা সড়কে গর্ত দেখা যায় না। রিকশা চালাতে গেলেও উল্টে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। তারপরও পেটের তাগিদে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি।”
এদিকে টানা বৃষ্টি হলেও পদ্মা নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জাননিয়েছেন।