“প্রাপ্ত তথ্য, সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্যানুসন্ধানে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সুপারিশ করে দুদক প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়।”
Published : 02 Mar 2025, 08:31 PM
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর খোন্দকার নাসিরউদ্দিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছে।
রোববার গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের দুদকের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় মামলাটি করেছেন।
দুদক থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা/সেকশন অফিসার পদে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও নিয়োগ কমিটির সদস্য প্রফেসর মোশার্রফ আলী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন বিভাগের সাবেক প্রফেসর এবং নিয়োগ কমিটির সদস্য মো. আব্দুল মান্নান এবং গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার শারমিন চৌধুরী।
মামলার বিবরণে বলা হয়, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ৭৬৩ নাম্বার স্মারকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/সেকশন অফিসারের ১৬টি পদসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ১৬টি শূন্য পদের স্থলে শারমিন চৌধুরীসহ ২০ জনকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই পদে ৮৭০ জন আবেদনকারীর ডাটা শিটে তৎকালীন ভিসি খোন্দকার নাসির উদ্দিনের স্বাক্ষর রয়েছে। তালিকাটিতে শারমিন চৌধুরীর নাম নেই।
সেখানে আরও বলা হয়, তাছাড়া নিয়োগ কমিটির সুপারিশ তালিকার ৮৭৩ নাম্বার ক্রমিকে শারমিন চৌধুরীকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে ৮৭৩ নাম্বার ক্রমিক ডাটা শিটে উল্লেখ নেই। অর্থাৎ আবেদন তালিকায় নাম না থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে শারমিন চৌধুরীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত ছিল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখে প্রার্থীর বয়স ৩২ বছর হতে হবে। তখন শারমিন চৌধুরীর বয়স ছিল ৩৩ বছর ৩ মাস। বেআইনিভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ১৬টি শূন্য পদের স্থলে ২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ডাটা শিটে নাম না থাকার পরও শারমিন চৌধুরীকে নিয়োগ দিয়ে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করা হয়েছে বলে মামলার বিবরণের উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে সহকারী পরিচালক বিজন কুমার বলেন, “অভিযোগের বিষয়ে গত ১২ জানুয়ারি সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রাপ্ত তথ্য, সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্যানুসন্ধানে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সুপারিশ করে দুদক প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়।”
এরপর দুদক প্রধান কার্যালয়ে নির্দেশে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় বলে দুদকের এই কর্মকর্তা জানান।