২৫ জুন সন্ধ্যায় শ্রমিকদের পাওনা আদায়ের বিষয়ে আলোচনা করতে প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেডের ফ্যাক্টরিতে যান শহীদুল।
Published : 10 Jul 2023, 12:22 AM
গাজীপুরের টঙ্গীতে শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার বিকালে গাজীপুর মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন উপ-কমিশনার মাহবুব উজ জামান।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- ময়মনসিংহ জেলার পাড়াইল বাজার গ্রামের বাসিন্দা বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের গাজীপুর জেলার সাংগঠনিক সম্পাদ কমাজাহারুল ইসলাম (৩৫), নরসিংদী জেলার রায়নাদি জুগিরটেক গ্রামের মো. রাসেল মন্ডল (৩২) এবং টঙ্গীর গুটিয়া এলাকার ম্যানেজার হানিফ (৩৫)।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, টঙ্গী পশ্চিম থানার সাতাইশ এলাকায় প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেডের মালিক হাজী সাইফুদ্দিনের ফ্যাক্টরির প্রায় ৭৫০ শ্রমিকের মে, জুন মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস বকেয়া ছিল। জুনের শেষ সপ্তাহে এসব নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল। ২৫ জুন সন্ধ্যায় শ্রমিকদের পাওনা আদায় করতে মোস্তফা, শরীফ এবং আকাশকে সঙ্গে নিয়ে ফ্যাক্টরিতে যান শহীদুল।
শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ২৬ জুন সকালে পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে এবং চলমান সংকট নিরসনে কলকারখানা অধিদপ্তরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আলোচনা শেষ করে শহীদুলসহ অন্যরা ফ্যাক্টরির সামনে পৌঁছতেই মাজাহারুল ইসলাম, মো. রাসেল মন্ডল, রিপন, সোহেল, ম্যানেজার হানিফসহ অজ্ঞাত কয়েকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদেরকে গতিরোধ করে। তারা শহীদুল ইসলামের বুকে ও মাথায় ক্রমাগত কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে।
এ সময় স্থানীয় মানুষ ও পথচারীরা আহত শহীদুল ইসলামকে উদ্ধার করে তায়রুন্নেছা মেমোরিয়ল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক শহীদুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি কল্পনা আক্তার বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপ-কমিশনার মাহবুব উজ জামান বলেন, “মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এজাহারের এক নম্বর আসামি মাজাহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ। শনিবার রাতে ম্যানেজার হানিফকে গ্রেপ্তার করে শিল্প পুলিশ এবং রোববার সকালে ময়মনসিংহের নামাপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মো. রাসেল মন্ডলকে।”
আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
আরো পড়ুন: