লাশ উদ্ধারের পর করা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
Published : 17 Apr 2025, 08:02 PM
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো জেলা।
স্কুলছাত্রী জান্নাতি বেগমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি প্রতিবেশী বেলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা বৃহস্পতিবার সকালে বেলালের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে।
১২ বছর বয়সি নিহত জান্নাতি উপজেলার চর ভোটমারী গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে।
সে স্থানীয় ভোটমারী এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
তাকে হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট টেকনিক্যাল কলেজ, জান্নাতির স্কুল, কালীগঞ্জ থানা ও ভোটমারী বাজারসহ ছয়টি স্থানে আলাদা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
এসব কর্মসূচিতে স্থানীয়রা ছাড়াও জান্নাতির সহপাঠী, শিক্ষক, অভিভাবক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জান্নাতির নানিবাড়ি একই গ্রামে। বুধবার সন্ধ্যায় জান্নাতির মা তার নানিকে দেখতে সেই বাড়িতে যান। মেয়েটি বাড়িতে একা ছিল।
স্কুলছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, গ্রেপ্তার যুবক
রাতে মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশের ভুট্টা খেতে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, লাশ উদ্ধারের সময় জান্নাতির দুই হাত পিঠমোড়া করে বাঁধা ছিল এবং মুখমণ্ডল বালুতে গুঁজে রাখা ছিল।
লাশ উদ্ধারের পর মেয়েটির বাবা ফজলুল হক বাদী হয়ে বেলাল হোসেনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ বেলালকে গ্রেপ্তার করে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি সেলিম মালিক বলেন, “এ পর্যন্ত প্রাথমিক তদন্তে মেয়েটিকে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। পারিবারিক শত্রুতার জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, “নিহত জান্নাতির ভাইয়ের সঙ্গে বেলাল হোসেনের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল বলে জানা গেছে।
“বেলালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ ও অন্যদের সনাক্তে তদন্ত জোরদার করা হয়েছে।”
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা বেলাল হোসেনের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে। পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।