বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার কর্মীদের ওপর হামলার মামলায় ছাত্রলীগের নেতাসহ ১৩ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত।
রোববার আসামিদের রিমান্ড ও জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। দুপক্ষের শুনানি শেষে বরিশাল মহানগর বিচারিক হাকিম আল ফয়সাল রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই মো. হুমায়ন কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার পরিদর্শক হরিদাস নাগ প্রত্যেককে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন। মামলায় আসামিদের জামিনের পক্ষে শুনানি করেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর।
আদালত এ মামলায় আগামী ৬ জুন পুলিশি প্রতিবেদনের জমা দেওয়ার দিন রেখেছেন। আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আসামিরা হলেন- মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক রইজ আহম্মেদ মান্না, মান্নার ছোট ভাই রিসাদ আহম্মেদ নাদিম (২৫), আর আর এফ পুলিশ লাইনস এলাকার বাসিন্দা পারভেজ হাওলাদার (৩২), নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গবন্ধু কলোনীর বাসিন্দা শান্ত ইসলাম (২৪), ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা মেহেদী হাসান সম্পদ (৩০), একই এলাকার মিজানুর রহমান শাওন (২৫), নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মামুন হাওলাদার (৩৬), ১ নম্বর ওয়ার্ডের আল আমিন হাওলাদার (২৮), একই এলাকার রাসেদ হাওলাদার (২৫), কাউনিয়া প্রথম গলির বাসিন্দা ইমরান হোসেন সজিব (৩০), কাউনিয়া জানুকি সিংহ রোডের ফাহিম (২২), কাউনিয়া কালাখার বাড়ীর সুমন হাওলাদার (২৯) এবং ২ নম্বর এলাকার নান্টু সন্যামত (৫৩)।
মামলায় বলা হয়, ১৪ মে রাতে নগরীর কাউনিয়া মহাশশ্মানের সামনে বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের চার কর্মীকে মারধর করা হয়। এতে আহত হয়ে তিনজন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় ওই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০ জন ও র্যাব তিনজনকে আটক করে।
হামলায় আহত মনা আহম্মেদ বাদী হয়ে বরিশাল মহানগর পুলিশের কাউনিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে জনতার পথরোধ করে খুনের উদ্দেশ্যে সাধারণ ও গুরুতর জখম করাসহ হত্যার হুমকি ও সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা মান্না বরিশালের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ঘটনার সময় মান্না ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তও দাবি করেছে।
আরও পড়ুন: