অপরিকল্পিত বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণের ফলে হাওরে মাছের গতিপথে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।
Published : 23 Nov 2024, 10:43 PM
কিশোরগঞ্জে হাওড়ের মাঝ দিয়ে নির্মিত ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক সংস্কার করা হবে; প্রয়োজনে বেশ কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
শনিবার সকালে সিলেট নগরে ‘হাওরে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় স্টেকহোল্ডার্স কনসাল্টেশন ওয়ার্কশপ’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
সিলেট মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে সুবিদবাজারে খ্যান প্যালেস কনভেনশন হলে কর্মশালায় তিনি বলেন, “সিলেটকে বন্যা থেকে রক্ষা ও পানির অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতে প্রয়োজনে কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক সংস্কার করা হবে।
“প্রয়োজনে এই সড়কের বেশ কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হবে। এ জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়ন করা হবে।”
নির্বিচারে হাওর ভরাট হচ্ছে জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, আধুনিকতার নামে হাওরে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে পানি প্রবাহ ব্যাহত হয়েছে। হাওরের মাছ প্রকৃতির দান। প্রকৃতির বিরুদ্ধাচারণ করে মাছের প্রজননের জন্য নির্দিষ্ট সময় না দিয়ে মানুষ ভোক্তা ও আহরণকারী হিসেবে অত্যন্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে।
অপরিকল্পিত বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণের ফলে হাওরে মাছের গতিপথে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিষিদ্ধ জাল দিয়ে দেশি প্রজাতির মাছ ধ্বংস করা হয়েছে।
হাওরে যারা মাছ ধরছেন তাদের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, “যারা সত্যিকারের মৎস্যজীবী তাদেরকে মূল্যায়ন করা হয়নি। এতদিন জলমহাল যাদের কাছে ইজারা দেওয়া হয়েছে; তারা অতি মুনাফার লোভে মাছের ক্ষতি করেছেন।
“এজন্য প্রকৃত মৎস্যজীবীদের স্বার্থ সংরক্ষণে দেশি প্রজাতির মাছ রক্ষা করা অত্যন্ত দরকার। মাছ ধরা পেশাকে আধুনিকায়ন করতে হবে, যাতে তারা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারেন।”
প্রজননের সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধের পাশাপাশি পর্যটনও সমন্বয় করা যেতে পারে বলে মতামত দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামালেন সভাপতিত্বে কর্মশালায় সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী এবং এনডিসি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে হাওর বেষ্টিত সাতটি জেলার জেলা প্রশাসক ও তাদের প্রতিনিধিসহ সরকারি কর্মকর্তা এবং অংশীজনেরা অংশগ্রহণ করেন।