সিলেটে আইনজীবীর ওপর হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
Published : 13 Aug 2023, 06:28 PM
সিলেটে আইনজীবীর ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাদের আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে; বিচারক পুলিশকে এজাহার নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রোববার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিমের প্রথম আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান ভুঁইয়া এই আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নওশাদ আহমদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, “আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করা এবং দ্রুত বিচার আইনে যেন নথিভুক্ত করা হয় তার নির্দেশ দিয়েছে।”
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সিলেট নগরীর দাঁড়িয়াপাড়া এলাকায় নিজের বাসার সামনে হামলার শিকার হয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও আইনজীবী প্রবাল চৌধুরী পূজন।
এ সময় হামলাকারীরা গুলি ছোঁড়ার পাশাপাশি হামবামোর বিস্ফোরণ ঘটায়; এতে পায়ে স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়ে পূজন আহত হন।
এ ঘটনায় ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করেন তিনি। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহার নামীয় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদ, সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর রুহেল আহমদ, সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মিছবাউল করিম।
অভিযোগটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার বিষয়ে জানতে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাদমুদকে মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।
আইনজীবী প্রবাল চৌধুরী বলেন, “মামলার আসামিরা সিলেটের চিনি চোরাকারবারি সঙ্গে জড়িত। একই সঙ্গে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে আমি ফেসবুকে পোস্ট করি। এরই ধারাবাহিকতায় আসামিরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। হামলার সময় আসামিরা গুলি ও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
এদিকে প্রবাল চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তদন্ত কমিটি গঠন করে বলে জানান উপ-দপ্তর সম্পাদক সানি মোহাম্মদ আকাশ।
তিনি বলেন, “হামলার বিষয়ে যে সব অভিযোগ উঠেছে সেগুলো খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চার সদস্যের কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
“তদন্ত প্রতিবেদনে সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে দলের সিদ্ধান্ত অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফুয়াদ হোসেন শাহাদত, বরিকুল ইসলাম বাঁধন, মাইনুল হাওলাদার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক তাওহিদ বনি।
বৃহস্পতিবার রাতে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “বড় ভাইয়ের মেয়ে হয়েছে আমি এ নিয়ে ব্যস্ত। ঘটনাটি শুনেছি। কে বা কারা করেছে জানি না। আমি পূজনকে চিনিও না।”
একইভাবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজও জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। তবে তিনি এক সপ্তাহ ধরে জন্ডিসে আক্রান্ত। বাসায় আছেন। সুস্থ হলে আইনজীবী পূজনকে দেখতে যেতেন।
সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদও জানান, হামলার ঘটনা সম্পর্কে জানেন না। কেউ তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ করে থাকলে তা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আরও পড়ুন: