হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যরা।
Published : 11 Aug 2023, 12:25 PM
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগের কমিটি ও ‘চিনি চোরাকারবারি’দের নিয়ে সমালোচনার জেরে সিলেটে এক আইনজীবীর ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় হাতবোমার আঘাতে আহত হয়েছেন আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সিলেট নগরীর দাঁড়িয়াপাড়া এলাকায় নিজের বাসার সামনে এ হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও অ্যাডভোকেট প্রবাল চৌধুরী পূজন।
অ্যাডভোকেট পূজন জানান, সিলেট জেলা ও মহানগরের ছাত্রলীগের কমিটি এবং চিনি চোরাচালান নিয়ে তিনি ফেইসবুকে কয়েকটি পোস্ট করেন। পরে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের অনুরোধে তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেন। এই পোস্টের জেরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, “বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ এবং মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ হেলমেট পরিহিত অবস্থায় এ হামলায় নেতৃত্ব দেন।
“এ সময় হামলাকারীরা কয়েক রাউন্ড গুলি ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে পায়ে স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়ে পূজন আহত হয়েছি। পরে হামলাকারীরা মিছিল দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।”
তিনি আরও বলেন, “তাৎক্ষণিক হামলার বিষয়টি পুলিশকে অবগত করেছি। চিকিৎসা শেষে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।”
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দিপু রায় বলেন, “আমরা নার্সারির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ গুলির শব্দ শুনি। এরপর মোটরসাইকেল করে কয়েকজন এসে পূজন দা কে তাদের সঙ্গে যেতে বলে।
“পূজন দা যেতে চাননি, তখন তারা এই ঘটনা ঘটায়। পরে স্থানীয়রা আহত পূজনদাকে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।”
তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, “বড় ভাইয়ের মেয়ে হয়েছে আমি এ নিয়ে ব্যস্ত। ঘটনাটি শুনেছি। কে বা কারা করেছে জানি না। আমি পূজনকে চিনিও না।”
একইভাবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজও জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। তবে তিনি এক সপ্তাহ ধরে জন্ডিসে আক্রান্ত। বাসায় আছেন। সুস্থ হলে অ্যাডভোকেট পূজনকে দেখতে যেতেন।
মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদও জানান, হামলার ঘটনা সম্পর্কে জানেন না। কেউ তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ করে থাকলে তা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এদিকে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসিও মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে হামলার ঘটনার কোনো তথ্য পায়নি।”