১৪ মে রাতে চন্দ্রদিঘলিয়া বাজারে গুলি ও সহিংসতার ঘটনায় আহত ওসিকুর ভূঁইয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
Published : 30 Jun 2024, 09:37 PM
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী নিহতের মামলায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুলকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার তিনি গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক মো. কামরুল হাসান আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান।
ওসি জানান, গত ৮মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে কামরুজ্জামান ভূইয়া লুটুল গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
পরে ১৪ মে রাত সাড়ে ৭টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া বাজারে গুলি ও সহিংসতার ঘটনায় ওসিকুর ভূঁইয়াসহ (২৭) ছয়জন আহত হন। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক ওসিকুরকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই গ্রামের জলিল ভূঁইয়ার ছেলে ওসিকুর ভূঁইয়া পেশায় চা-বিক্রেতা ছিলেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বি এম লিয়াকত আলীর সমর্থক ছিলেন।
এ ঘটনায় ১৬ মে রাতে ওসিকুর ভূঁইয়ার বোন পারুল বেগম বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুলকে প্রধান আসামি করে ২৩ জনের নাম উল্লেখ এবং ৪০/৫০ অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এই মামলার পর হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুল। তখন হাইকোর্ট তাকে নিম্ন আদালত থেকে স্থায়ী জামিন নেওয়ার আদেশ দেয়।
সেজন্য তিনি রোববার গোপালগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত তা নামঞ্জুর করে তকে কারাগারে পাঠায় বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা: চেয়ারম্যানকে আসামি করে মামলা
গোপালগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা: মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ