বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে একটি পক্ষ এ দুটি হত্যা মামলা করেছে; যার আসামি মোট ১৬৩।
Published : 17 Jul 2023, 08:46 PM
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার মসজিদের কাঁঠাল নিলাম নিয়ে বিরোধের জেরে তিন খুনের ঘটনায় এক সপ্তাহ পর দুটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
রোববার রাতে ও সোমবার সকালে এ দুটি মামলা করা হয় বলে জানান শান্তিগঞ্জ থানার ওসি খালেদ চৌধুরী।
১০ জুলাই উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামে ওই সংঘর্ষে আব্দুল লতিফের ছেলে নুরুল হক (৪৫), আব্দুস সুফির ছেলে বাবুল মিয়া (৫০) এবং আব্দুল বাসিরের ছেলে শাহজাহান মিয়া (৫৫) খুন হন।
এর মধ্যে নুরুল ও বাবুল গ্রামের দ্বীন ইসলামের পক্ষের এবং প্রতিপক্ষ মালদার আলীর পক্ষের সমর্থক ছিলেন শাহজাহান।
পুলিশ জানায়, রোববার রাতে নিহত নুরুল হকের ভাই তোফাজ্জল হক ৬৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন। সোমবার সকালে নিহত বাবুল মিয়ার ভাই ফারুক মিয়া ৯৪ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।
তবে নিহত শাহজাহান মিয়ার পক্ষ থেকে এখনও কোনো মামলা হয়নি।
ওসি খালেদ চৌধুরী বলেন, মামলার আগেই ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ নিয়মিত টহল ও মতবিনিময় সভা করছে।
হাসনাবাদ গ্রামবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরেই দ্বীন ইসলাম ও মালদার আলীর সমর্থকদের মধ্যে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব রয়েছে। আগে থেকেই তাদের মধ্যে সংঘর্ষ ও মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৭ জুলাই হাসনাবাদ গ্রামের মসজিদে একটি কাঁঠাল দান করেন এক ব্যক্তি। নামাজ শেষে ওই কাঁঠাল নিলামে তোলা হয়।
সুনামগঞ্জের মসজিদে কাঁঠালের নিলাম নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ৩
কাঁঠালটি কিনে নেন মালদার আলী পক্ষের খসরু মিয়া। তখন নিলাম ডাক শুনতে পাননি এই দাবি জানিয়ে ফের নিলাম ডাকার আহ্বান জানান দ্বীন ইসলাম পক্ষের আব্দুল বাহার।
এ নিয়ে দুপক্ষের সমর্থক ও আত্মীয়-স্বজনরা মসজিদেই তর্কাতর্কিতে জড়ান এবং ওইদিন হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এর জের ধরে ১০ জুলাই দুপক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে তিনজন নিহত এবং অন্তত ৪০ জন আহত হয়।
এদিকে সংঘর্ষের দুদিন পর ১১ জুলাই বার্ধক্যজনিত কারণে মালদার আলী পক্ষের মোখলেছুর রহমান চিকিৎসা নিতে শহরে যাচ্ছিলেন। এ সময় অটোরিকশা থেকে ছিটকে গুরুতর আহত হন। পরে রাতে তিনি বাড়িতেই মারা যান। অনেকে একে সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে উল্লেখ করেছেন।
তবে মোখলেছুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে সংঘর্ষের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানায় তার পরিবার ও পুলিশ।