পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে উপজেলার চামরদানী, বংশীকুন্ডা ও মহিষখলা এলাকায় রাস্তা-ঘাট।
Published : 30 Jun 2023, 01:49 PM
দুই দিন ধরে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সুরমা, যাদুকাটা, সোমেশ্বরী, উব্দাখালীসহ বিভিন্ন নদ নদীর পানি বাড়ছে। এতে নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ রাস্তাঘাট ডুবে গেছে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তর পূর্বাঞ্চলের নদ নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে
পারে এবং নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আবহাওয়া ও বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুদ্দোহা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৫০ মিলিমিটার এবং তাহিরপুরের লাউড়েরগড় পয়েন্টে ২৭৫ মিলিমিটার।
শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি আগের দিন থেকে ২৪ সেন্টিমিটার বেড়ে ৭.৩৮ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। যা এখনো বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার নিচে।
অন্যদিকে ছাতকে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ৮.৫৭ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। হাওরেও এখন পর্যাপ্ত পানি ঢুকেছে বলে জানান তিনি।
এদিকে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা দুদিনের ভারি বর্ষণে সোমেশ্বরী ও উব্দাখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে ১ ফুটের বেশি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে নদীগুলোয়।
এ কারণে উপজেলার চামরদানী, বংশীকুন্ডা ও মহিষখলা এলাকায় রাস্তা ঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। এতে করে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। কিছু সড়কে মানুষ হেঁটেও চলাচল করতে পারছে না।
উত্তর বংশিকুণ্ডা ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর খসরু জানান, বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সীমান্ত নদী সোমেশ্বরী ও উব্দাখালীতে পানি বেড়েছে। এই পানি এখন মধ্যনগরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত করেছে।