বাস ও অটোরিকশা মালিক সমিতির বিরোধ মেটাতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হন বলে জানায় পুলিশ।
Published : 08 Mar 2025, 08:03 PM
বাস ও অটোরিকশা মালিক সমিতির বিরোধ মেটাতে গিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে মারধরের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। যা এক ঘণ্টার পর প্রত্যাহার করে নেয় আন্দোলনকারীরা।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা ও বরিশাল-ভোলা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন বলে জানান বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সনিয়া খান সনি।
মারধরের শিকার তিন শিক্ষার্থী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের তানজিল আজাদ, একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের রবিউল ইসলাম এবং তরিকুল ইসলাম। তারা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের খয়রাবাদ সেতুর ঢালে বেলা ১১টার দিকে বাস মালিক সমিতি ও সিএনজি মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন শিক্ষার্থী গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
এ সময় বাস মালিক সমিতির কিছু লোক বাঁশ ও লাঠি দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে মারধর করেন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অন্য শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জানতে পেরে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা সহপাঠীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন। অবরোধের কারণে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে বিচারের আশ্বাস দিলে এক ঘণ্টার পর অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের ওপর বাসের লোকজন নয়, সিএনজি শ্রমিকরা হামলা করেছে বলে দাবি বরিশাল সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি জিয়া উদ্দিন সিকদারের।
জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সড়কে যান চলাচল নিরাপদ বোধ মনে না হলে ধর্মঘটে যাবেন বাস মালিকরা।
বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, অটোরিকশা ও বাস মালিক সমিতির শ্রমিকদের মধ্য মারামারি থামাতে গিয়ে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সোনিয়া খান সনি বলেন, যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অবরোধ তুলে নিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
তবে হামলার ঘটনায় দোষীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।