সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর মালিকানাধীন কারখানাটিতে রোববার রাত ৯টার দিকে আগুন দেওয়া হয়৷ এর আগে দুপুর থেকে চলে লুটপাট৷
Published : 26 Aug 2024, 07:31 PM
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী গ্রুপের গাড়ির টায়ার প্রস্তুতকারী কারাখানার আগুন ২১ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এর মধ্যে সোমবার বিকাল পর্যন্ত প্রায় পৌনে ২০০ মানুষের খোঁজে স্বজনরা কারখানা চত্বরে ভিড় করেছেন।
সেই ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন সুমাইয়া আক্তার নামে এক কিশোরী৷ সে বলছিল, তার বাবা সজীব ভূঁইয়া রোববার রাতে রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকায় গাজী টায়ারস কারখানাটিতে এসেছিলেন৷ তারপর থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছে না৷
সুমাইয়ার পাশে দাঁড়িয়ে তার মা কল্পনা আক্তারও স্বামীর খোঁজে বিলাপ করে যাচ্ছিলেন৷
সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর মালিকানাধীন কারখানাটিতে রোববার রাত ৯টার দিকে আগুন দেওয়া হয়৷ এর আগে দুপুর থেকে চলে লুটপাট৷
সোমবার বিকালেও কারখানার মূল চত্বরের বাইরের অংশে লুটপাট অব্যাহত দেখা গেছে৷
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোববার দুপুরে কয়েকশ লোক কারখানায় ঢুকে পড়ে৷ তাদের বাধা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না৷ লুটপাটের সময় রাত ৯টার দিকে কারখানাটির ছয়তলা ভবনটির নিচতলায় আগুন লাগিয়ে দেয় লুটপাটকারীরা৷
রাত ১০টার দিকে নিজের শাড়ী তৈরির কারখানার এক শ্রমিককে খোঁজতে মালিক সজীব ভূঁইয়া গাজী গ্রুপের টায়ার কারখানার দিকে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী কল্পনা আক্তার। তারপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
সোমবার বিকালে কারখানার সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলছিলেন, রূপগঞ্জ উপজেলার মৈকুলী এলাকায় তার স্বামীর একটি জামদানি শাড়ি তৈরির কারখানা রয়েছে। তাদের কারখানার শ্রমিক মো. সাদ্দাম গাজী টায়ার কারখানা লুটপাটের সময় এদিকে আসেন।
“সাদ্দামের খোঁজে রাত ১০টায় কারখানায় আসেন সজীব। রাত ১০টায় মোবাইল ফোনে সর্বশেষ মায়ের সঙ্গে কথা বলেন সজীব৷ এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ।”
স্বামীকে জীবিত উদ্ধারের আকুতি জানিয়ে কল্পনা বলেন, “রাত ১১টা পর্যন্ত ফোনটা চালু ছিল, কিন্তু কল ধরে নাই৷ এরপর থেকে ফোন বন্ধ৷ রাত ১২টা থেকে তারে খুঁজতেছি৷”