ওএসডি করার একদিন পরই বাগেরহাটের সিভিল সার্জন জালাল উদ্দীন আহমেদকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
Published : 04 Nov 2024, 08:57 PM
‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করার একদিন পরই বাগেরহাটের সিভিল সার্জন জালাল উদ্দীন আহমেদকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এ এম আকমল হোসেন আজাদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বাগেরহাটের ডেপুটি সিভিল সার্জন হাবিবুর রহমান বলেন, প্রজ্ঞাপনটি হাতে পেয়েছেন। এবং তিনি ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, “যেহেতু, বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ (স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলির আদেশাধীন) এর চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং যেহেতু সরকার জনস্বার্থে তাকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা প্রয়োজন বলে বিবেচনা করে; সেহেতু, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।”
২৪ অক্টোবর বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে জরায়মুখ ক্যানসার প্রতিরোধে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসানের উপস্থিতে সিভিল সার্জন জালাল উদ্দিন তার বক্তব্য শেষে ‘জয় বাংলা’ উচ্চারণ করেন।
এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর প্রতিক্রিয়া দেখান স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ উচ্চারণকে কেন্দ্র করে সিভিল সার্জনের অপসারণের দাবিতে ওই দিন রাতেই বিক্ষোভ করেন যুবদলসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা।
রাতেই এই ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনিচ্ছাকৃত ভুলের’ জন্য দুঃখপ্রকাশ করে বিষয়টি ‘ক্ষমাসুন্দর’ দৃষ্টিতে দেখার জন্য এক বিবৃতিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন সিভিল সার্জন জালাল উদ্দীন আহমেদ।
এরপর ২৭ অক্টোবর সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসকের পদত্যাগের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনও করেন দলটির নেতারা।
এরপর রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব শোভন রাংসা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জালাল উদ্দীন আহমেদকে ওএসডি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।