নগরে ৭৫টিসহ জেলার প্রায় এক হাজার ২০০ স্থানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
Published : 28 Mar 2025, 01:21 PM
রংপুর নগরের বিভিন্ন এলাকায় ঈদুল ফিতরের জামাত আদায়ের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এবার ঈদের প্রধান জামাত নগরের কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।
এতে ইমামতি করবেন রংপুর কেরামতিয়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. বায়েজীদ হোসাইন।
কালেক্টরেট ঈদগাহে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারাসহ প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
তবে ঈদের দিন আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে বিকল্প স্থান হিসেবে রংপুর জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে দুই ধাপে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় এবং দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৯টায়।
কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতি নিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজু বলেন, সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে মাঠের কাজ চলছে। রোদ-বৃষ্টির জন্য মাঠে শামিয়ানা টাঙানো হচ্ছে। এ ছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে।
নগরের প্রধান জামাতের সময়ের সঙ্গে মিল রেখে জেলার অন্যান্য ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর মহানগরীর ৭৫টিসহ জেলার প্রায় এক হাজার ২০০ ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করবেন ধর্মপ্রাণ মানুষ।
ঈদের জামাত নির্বিঘ্ন করার জন্য নগরে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম।
তিনি বলেন, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ থাকবে। ঈদকে ঘিরে পুরো নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহ ময়দানসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। সড়ক পথে শৃঙ্খলা ফেরাতে রয়েছে পুলিশ চেকপোস্ট।
ঈদে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে বলে জানান মহানগর পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ঈদের দিন মানুষ যাতে নিরাপদে নামাজ পড়তে যেতে পারেন সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল।