নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের মামলা, আসামি ৫০০০

সংঘর্ষের রাতে নিহত শাওন প্রধানের ভাই মিলন প্রধান হত্যা মামলা করেছেন; যেখানে বিএনপির অজ্ঞাত পরিচয় ৫০০০ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2022, 05:55 PM
Updated : 2 Sept 2022, 05:55 PM

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় এবার পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে। এর আগে সংঘর্ষে নিহত শাওন প্রধানের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন।

দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক আইনে করা পুলিশের মামলায় ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪০০০-৫০০০ জনকে আসামি করা হয় বলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটিতে বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষের সময় শাওন প্রধান (২০) মারা যান। তিনি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এনায়েতনগর ও বক্তাবলী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পূর্ব গোপালনগরের প্রয়াত সাহেব আলীর ছেলে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু জানান, সদর থানার এসআই কামরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। এই মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সংঘর্ষ চলাকালে আটক করা হয়েছিল।

পুলিশের মামলায় সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, পুলিশের উপর হামলা, পুলিশ বক্সে হামলা, ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং পুলিশের গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়।

বিএনপি নেতা-কর্মীদের হামলায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সংঘর্ষে নিহত শাওন প্রধানের বড়ভাই মিলন প্রধান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় বিএনপির অজ্ঞাত পরিচয় ৫০০০ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা সকাল ১০টায় নগরীর ডিআইটিতে আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তনের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের করার প্রস্তুতি নেন। এতে পুলিশ বাধা দিলে বাধা উপেক্ষা করে বিএনপির মিছিল পাঠাগারের সামনে থেকে শহরের দুই নম্বর রেলগেইট এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করেন।

পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করলে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা দুই নম্বর রেলগেইট এলাকায় চাররাস্তার মোড়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েন। রেললাইনের পাশে থাকা ইট-পাটকেল সংগ্রহ করে তারা পুলিশের উপর ছুড়তে শুরু করেন। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় চলে এই সংঘর্ষ। একদিক থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ইট-পাটকেল ছোড়ে, বিপরীতে পুলিশ টিয়ারশেল ও গুলি ছুড়তে থাকে। সংঘর্ষ চলাকালে গুলশান হলের সামনে মারা যান শাওন প্রধান।

আরও পড়ুন: