আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে বলে জানায় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
Published : 12 Jun 2024, 10:17 PM
ঈদের ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে; তবে স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্ট যাত্রীদের চলাচল।
বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৬ জুন থেকে ১৮ জুন সরকারি ছুটি। তবে ঈদের ছুটির আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি। তাই পাঁচ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকছে।
তবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস করতে আসা ভারতীয় ট্রাক ওপারে ফেরত যেতে কোনো বাধা থাকবে না বলে জানান রেজাউল করিম।
ছুটি শেষে ১৯ জুন সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আগের মতো স্বাভাবিকভাবে চলবে বলে তিনি জানান।
ছুটির সময় বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তপথে পাসপোর্ট যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে বলে জানান বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি আজহারুল ইসলাম।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসবের কারণে আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে সম্পৃক্ত সি অ্যান্ড এফ মালিক, কর্মচারী, হ্যান্ডলিং শ্রমিক, ট্রাকচালকরা নিজ নিজ এলাকায় যাবেন। ফলে শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।”
এদিকে টানা ছুটির কারণে সীমান্তের দুই পাশে পণ্যবাহী ট্রাকের জট বাড়বে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
বেনাপোলের মত ভারতের পেট্রাপোলেও পণ্যবাহী ট্রাকের জট রয়েছে বলে জানান কার্তিক চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, “পেট্রাপোলে কয়েকশ পণ্যবোঝাই ট্রাক অপেক্ষা করছে। ছুটি শেষে এসব পণ্য বেনাপোল বন্দরে ঢুকবে। এতে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হবে।”
বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, লম্বা ছুটিতে বন্দর ও কাস্টমসের অনেক কর্মকর্তা বাড়ি চলে যান। ১৯ জুন বন্দর খুলেও কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে।
এ ছাড়া ঈদের আগে-পরে তিন দিন ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ রাখায় বন্দর থেকে কোন পণ্য খালাসও হবে না বলে জানান তিনি।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন, “পেট্রাপোল বন্দর থেকে প্রতিদিন রপ্তানি পণ্য নিয়ে সাড়ে তিনশ থেকে পাঁচশ ট্রাক বেনাপোল বন্দরে আসে। আর বেনাপোল হয়ে পণ্য নিয়ে দেড়শ থেকে আড়াইশ ট্রাক যায় ভারতে। এই বন্দর হয়ে দেশের ৭৫ ভাগ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাঁচামালসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী আসে।”