একদিন আগে ঘোষণা করা নতুন কমিটিতে একজনকে ৬ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক এবং অপরজনকে ১ নম্বর যুগ্ম সদস্যসচিব করা হয়।
Published : 28 Feb 2025, 05:37 PM
সদ্য ঘোষিত নতুন ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদে’ পদ পাওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রতিনিধি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে ক্যাম্পাসের পরিবহন মার্কেটে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই ঘোষণা দেন।
পদত্যাগ করা দুইজন হলেন- গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী সজীব এবং যুগ্ম সদস্যসচিব সালাহউদ্দিন আম্মার। তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, “বিভাজন ও আধিপত্য বিস্তারের রাজনীতি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং জুলাই বিপ্লবের কাঙ্ক্ষিত বৈষম্যহীন ও আধিপত্যবিহীন বাংলাদেশ এখনও বাস্তবায়ন করা যায়নি।
“ফলে জুলাই অভ্যুত্থানের বিভিন্ন স্টেইকহোল্ডারসহ সর্বক্ষেত্রে বিভাজন লক্ষণীয়। এ বিভাজনকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করে বৈষম্যহীন দেশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।”
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লবের মূলে ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধেই আন্দোলন; কিন্তু বৈষম্য যদি নতুন মোড়কে আধিপত্যবাদ বা আঞ্চলিকতার মোড়কে ফিরে আসে তবে তা হবে দুঃখজনক। এর বিরুদ্ধে আবার সোচ্চার হতে হবে।”
নতুনদের কাউকে দলের দায়িত্ব না নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সালাউদ্দিন দাবি করেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেটের বাহিরে গিয়ে তাদের পক্ষে কোনও দল, গোষ্ঠী বা প্রেসার গ্রুপে নিজেদেরকে একীভূত করা যুক্তিযুক্ত হবে না। তাই আমরা পদত্যাগ করলাম।”
এর আগে বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করে নতুন ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারকে আহ্বায়ক এবং দপ্তর সম্পাদক জাহিদ আহসানকে সদস্যসচিব করে ছয় সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি করা হয়।
পরদিন বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে ২০৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার। এতে ৬ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে মেহেদী সজীব এবং ১ নম্বর যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে সালাহউদ্দিন আম্মারের নাম ঘোষণা করা হয়।
আর কমিটি ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই দুই সমন্বয়ক।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, “ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলটা সর্বজনীন হতে পারত। কিন্তু তাদের বর্তমান অবস্থানের কারণে দলটার প্রতি শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস রাখতে পারছে না। জুলাই অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল শিক্ষার্থীরা। সেই শিক্ষার্থীদের পাল্সের বাইরে গিয়ে রাজনীতি করা সম্ভব নয়।”
আরেক প্রশ্নের জবাবে মেহেদী সজীব বলেন, “নতুন বন্দোবস্তের নামে ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নয়া ফ্যাসিবাদী মনোভাবের যে উত্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে তার প্রতিবাদেই এই প্লাটফর্মে থাকতে রাজি না।”