ব্যবসায়ীরা জানান, দূষিত পানিতে ভেজা চাল মানুষের খাওয়ার উপযোগী না থাকায় মাছের খাদ্য হিসেবে বিক্রির উপায় খুঁজছেন তারা।
Published : 29 May 2024, 01:44 AM
বরিশাল নগরীর পাইকারি বাজার ফড়িয়া পট্টির আড়তে কীর্তনখোলা নদীর পানি প্রবেশ করে অর্ধ কোটি টাকার চাল নষ্ট হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সোমবার বিকালে কীর্তনখোলা নদীর ফুঁসে উঠা পানি খাল হয়ে বাজারে প্রবেশ করলে এসব চাল নষ্ট হয় বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন আড়তদার যুধীষ্ঠির নট্ট।
বরিশাল নগরীর কীর্তনখোলা নদীর তীর সংলগ্ন জেল খালের পাড়ে পাইকারি ও খুচরা চাল বিক্রির মোকাম এই ফড়িয়া পট্টিতে ৩৫টি চালের আড়ত রয়েছে।
এর মধ্যে ৫-৬টি ছাড়া বাকি আড়তের চাল পানিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। চকের পুলের পাশের কিছু আড়তে পানি না ঢুকলেও পোর্ট রোড প্রান্ত থেকে শুরু করে ভেতরের দিকের সবগুলো আড়তে পানি প্রবেশ করেছে।
এই বাজারের বড় চাল ব্যবসায়ী যুধীষ্ঠির নট্ট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাঁধন ট্রেডার্সের গুদামে পানি প্রবেশ করে সাত লাখ টাকার চাল নষ্ট হয়ে গেছে।
তার দাবি, পুরো মোকামের ব্যবসায়ীদের অন্তত অর্ধকোটি টাকার চাল নষ্ট হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে ফড়িয়া পট্টি গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি আড়তের লোকজন বিভিন্ন ধরনের চালের ভেজা বস্তা সরানোর কাজ করছেন। আড়তগুলোর কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ বস্তা, কোথাও আবার শতাধিক বস্তা চাল পানিতে ভিজে ফুলে উঠেছে।
ভিজে নষ্ট হওয়া চালের মধ্যে রয়েছে বুলেট, আটাইশ বালাম, উনত্রিশ বালাম, মিনিকেট, পাইজাম, চিনিগুড়া, বাসমতি, কাটারিসহ আরও কয়েক ধরনের চাল। এই চালগুলো সবই দামি জাতের চাল।
ব্যবসায়ীরা বলেন, খালের দূষিত পানিতে ভিজে যাওয়ায় এসব বস্তার চাল মানুষের খাওয়ার উপযোগী নেই। এখন এ চাল মাছের খাদ্য হিসেবে বিক্রি করার উপায় খুঁজছেন তারা।
তবে মঙ্গলবার রোদ না ওঠায় সেই ব্যবস্থা নিয়েও শঙ্কা আছে তাদের।
মেসার্স মিতালী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী তারিকুল আহসান বলেন, পূর্বেও জলাবদ্ধতা হয়েছে তবে এবারের জলাবদ্ধতা ৪০ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গেছে।
এ সকল চাল উদ্ধার করা হয়েছে ঠিকই তবে এগুলো আর কোনো কাজে আসবে না।
তারিকুল ইসলামের দাবি, ব্যবসায়ীদের কোনো ধরনের ত্রুটির খবর পেলে সরকারের সব দপ্তর ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু আজ বিপদের সময় কেউ ন্যূনতম খোঁজখবরও নেয়নি।