গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি কমতে শুরু করলেও এখনও বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
Published : 07 Jul 2024, 11:51 PM
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি কমতে শুরু করলেও এখনও বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন ও পাউবো জানিয়েছে, জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এই অবস্থায় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টায় গাইবান্ধা পাউবোর বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি পাঁচ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনও বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে ১২ সেন্টিমিটার হ্রাস পেলেও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৭১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং ১০ সেন্টিমিটার হ্রাস পেলেও ঘাঘটের পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করতোয়া নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হওয়া জেলার ১৪৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. রোকসানা বেগম জানান, ভবন ও চত্বরে বন্যার পানি প্রবেশ করায় গাইবান্ধায় সাতটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও তিনটি মাদরাসার ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, জেলায় ছয় হাজার ৪৩৬ হেক্টর জমির রোপা আউশ ধান, পাট, ভুট্টা, আমন বীজতলা, তিল, কলা, বাদাম ও শাকসবজি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরূপণ করা চলমান আছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পচ্ছে। তবে ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘটের পানি কমতে শুরু করেছে। পাউবো সব ধরনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা জুয়েল মিয়া জানান, বন্যায় পানিবন্দি পরিবারদের জন্য তিন হাজার ৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার, ১৬৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মজুত রয়েছে ২৬৫ মেট্রিক টন চাল, ২০০ প্যাকেট শুকনা খাবার।
এ ছাড়া বিশুদ্ধ পানির জন্য জেরিকেন ও ট্যাবলেট সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি একাধিক এনজিও ত্রাণ বিতরণ করছে।