ওসি বলেন, “নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার হাত ও পায়ের কয়েকটি নখ উপড়ে ফেলা হয়েছে।”
Published : 29 Jan 2025, 11:38 PM
কক্সবাজারের শহরতলী থেকে এক ইজিবাইক চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. ইলিয়াছ খান সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার সকাল ১০টায় খুরুশকূল ইউনিয়নের আল্লাঅলা হ্যাঁচারির পাশে একটি নালা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আবুল কালাম (৩৫) সদর উপজেলার খুরুশকূল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফকির পাড়ার মৃত আমানুল হকের ছেলে।
এ ঘটনায় আটক জাফর উল্লাহ (৩৮) কক্সবাজার শহরের টেকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার থাকেন। তার মূল বাড়ি নোয়াখালী জেলার সূবর্ণচর উপজেলার পশ্চিম চরজব্বর এলাকায়। আবুল কালাম ভাড়ায় যে ইজিবাইকটি চালাতেন সেটির মালিক জাফর উল্লাহ।
নিহতের চাচাত ভাই মোহাম্মদ করিম সাংবাদিকদের বলেন, আবুল কালাম কক্সবাজার শহর ও খুরুশকূল এলাকায় ভাড়ায় ইজিবাইক চালাতেন। প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হতেন এবং রাত ১০টার মধ্যে ফিরতেন। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে গাড়ি চালানোর জন্য বের হয়েছিলেন। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। এতে উদ্বিগ্ন স্বজনরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি।
সকালে খুরুশকূলের আল্লাঅলা হ্যাঁচারির পাশের একটি নালায় আবুল কালামের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা স্বজনদের জানায়। পরে ঘটনাটি থানায় অবহিত করা হয়।
নিহতের এ স্বজন বলেন, “কয়েকদিন আগে শহরের টেকপাড়ায় ছুরত আলমের মালিকাধীন গ্যারেজ থেকে একটি ইজিবাইক চুরি হয়। গাড়িটির মালিক ছিলেন জাফর উল্লাহ। আর গাড়ির চুরির ঘটনায় আবুল কালাম জড়িত বলে অভিযোগ তোলা হয়।”
এ ঘটনার খোঁজ নিতে দুইদিন আগে গ্যারেজ ও গাড়ির মালিকসহ চার-পাঁচজন আবুল কালামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। চলে আসার সময় দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন বলে অভিযোগ করেন মোহাম্মদ করিম।
তিনি দাবি করেন, “ঘাতকরা আবুল কালামকে গাড়ির গ্যারেজে পিটিয়ে হত্যার পর লাশটি খুরুশকূলের আল্লাঅলা হ্যাঁচারির পাশের একটি নালায় ফেলে রেখেছে। কয়েকদিন ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে হুমকি এবং শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখে তা পরিষ্কার।”
কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াছ খান বলেন, “নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার হাত ও পায়ের কয়েকটি নখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে আসার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
ইলিয়াছ খান বলেন, “কারা কী কারণে এ খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে সেই রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।”