পুলিশ সুপার সারোয়ার বলেন, যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শিল্পাঞ্চলে কারখানাগুলোর সামনে পুলিশ মোতায়েন আছে।
Published : 25 Sep 2024, 03:15 PM
শ্রমিক অসন্তোষে কয়েকদিনের অস্থিরতা কাটিয়ে শান্ত হয়ে উঠেছে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল। কাজে ফিরেছেন শ্রমিকরা। কয়েকটি কারখানা এখনো বন্ধ থাকলেও ধীরে ধীরে সব কারখানাই খুলে দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম জানান, বিজিএমইয়ের সভায় শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়ে বুধবার সকাল থেকে কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে কারখানা খোলার পর শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিয়ে উৎপাদন শুরু করেছেন।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। শিল্পাঞ্চলের কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নতুন করে কোনো কারখানা বন্ধ হয়নি।
পুলিশ সুপার বলেন, তবে দুপুর পর্যন্ত ১৪টি কারখানা খুলেনি কর্তৃপক্ষ। কারখানাগুলো শ্রম আইনের ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। এর বাহিরে শিল্পাঞ্চলের সব কারখানায় স্বাভাবিক রয়েছে উৎপাদন।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, মঙ্গলবার বিজিএমইএর বৈঠকে শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়াগুলো একত্রে করে ১৮টি দাবি চিহ্নিত করেন।
তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি হবে। কমিটি আগামী তিন মাসের মধ্যে তদন্ত করে সুপারিশ পেশ করবে। শ্রমিকরা এখন থেকে টিসিবির পণ্য পাবে।
এছাড়া যেসব কারখানায় বকেয়া বেতন রয়েছে তা আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। নাইট বিল, টিফিন বিল, হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়। মালিক পক্ষ সব দাবি মেনে নেওয়ায় কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই শ্রমিক নেতা।
তিনি আরও বলেন, এর মধ্যেও সকালে নিট এশিয়ার ভিতরে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। ভিনটেজ, ডেকো গ্রুপ, জেনারেশর নেক্সট বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া বিজিএমইএর সভায় সিদ্ধান্ত হয় বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না। কিন্তু অনন্ত গামের্ন্টস ও অনন্ত স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টির অভিযোগে ১৩৯জন শ্রমিককে সাময়িক বরখাস্ত করে নোটিশ টাঙ্গিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সকালে নোটিশ দেখে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করলে সেনাবাহিনী তাদের সরিয়ে দেয় বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার সারোয়ার বলেন, যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শিল্পাঞ্চলে কারখানাগুলোর সামনে পুলিশ মোতায়েন আছে। এছাড়া যৌথবাহিনীর টহলও অব্যাহত রয়েছে।
আগের সংবাদ