নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় চর জুবলি ইউনিয়নের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় আটশ ঘর নির্মাণ করা হয়।
Published : 23 Feb 2025, 11:09 PM
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্রের ঘর বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কৃষক দলের এক নেতাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার রাতে উপজেলার চর জুবলি ইউনিয়নের চর মহিউদ্দিন বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কৃষক দলের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক।
আহত আব্দুল করিম (৫০) চর জুবলি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক দলের সভাপতি। তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত আব্দুল করিম অভিযোগ করে বলেন, চর জুবলি ইউনিয়নে গৃহহীনদের জন্য সরকারিভাবে আশ্রয়কেন্দ্রের প্রায় আটশ ঘর নির্মাণ করা হয়।
৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর সেখান থেকে ৪১টি ঘর নামে-বেনামে বিক্রি করে দেন একই ওয়ার্ডের বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহবুবুল হক চৌধুরী। এক একটি ঘর ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা হারে বিক্রি করেন তিনি। ঘরগুলো বুঝিয়ে দেওয়ার সময় ঘটনাটি জানাজানি হয়।
আব্দুল করিম বলেন, “এ ঘটনায় আমি প্রতিবাদ করি এবং বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়কে অবহিত করি।
“এর জেরে শনিবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় চরমহিউদ্দিন বাজারে পাশে মাহবুবুল হক ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমার পথ আটকায়। মাহবুবুল হক আমার গলা টিপে ধরেন এবং আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন।
“এক পর্যায়ে মাহবুবুল হকের সঙ্গে থাকা ৭-৮ জন তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়।”
এ সময় পাশের একটি দোকানে আশ্রয় নিয়ে প্রাণ বাঁচান এবং সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ছাড়া তার সঙ্গে থাকা ১ লাখ সাড়ে ৭ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা মাহবুবুল হককে মোবাইল করা হলে এ ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে লাইন কেটে দেন।
চরজব্বর থানার ওসি শাহীন মিয়া বলেন, “এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
এ বিষয়ে আব্দুল করিম বলেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সোমবার তিনি অভিযোগ জানাবেন।
সুবর্ণচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন বলেন, “চর মহিউদ্দিন গ্রামে ভূমিহীনদের জন্য ৮শ ২০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে ৪০টি ঘর খালি ছিল।
“খালি ঘরগুলোতে বন্দোবস্ত না পাওয়া কিছু লোক ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে ঘরগুলো পুনরায় আমাদের দখলে নেওয়া হয়েছে।”
এ বিষয়ে কৃষক দলের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, “কৃষকদলের জেলা সভাপতি বিপি ফজলে এলাহী পলাশ আহত আব্দুল করিমকে হাসপাতালে দেখে এসেছেন। ”
হামলার বিষয়ে বিস্তারিত খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিতে দলের ঊধ্বর্তন নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।