মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, মা মাছ নিধনের বিরুদ্ধে শীঘ্রই চলনবিল এলাকায় মৎস্য শিকারিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হবে।
Published : 22 Jun 2024, 09:56 PM
পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যমুনা নদী এবং চলনবিলের নদ-নদী, খাল-বিলে এসেছে প্রচুর পরিমাণে ছোট বড় বোয়াল মাছ। উৎসবের আমেজে জাল, জুইতা ও টেঁটা দিয়ে সেসব বোয়াল ধরছেন মাছ শিকারিরা ।
এদিকে মাছ ধরে শিকারিরা খুশি হলেও সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, ডিমওয়ালা এসব মাছ ধরায় মাছের বংশ বৃদ্ধি হ্রাসের আশঙ্কা রয়েছে।
তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বলেন, চলনবিলে বন্যার নতুন পানি প্রবেশ করায় নদ-নদী ও খাল বিল পানিতে ভরে গেছে। ডিম ছাড়ার জন্য মা বোয়াল মাছ কম পানিতে এসে লাফালাফি করছে।
“দলবেঁধে প্রচুর মানুষ প্রতিদিন এসব জায়গায় থেকে ছোট বড় বিভিন্ন ওজনের বোয়াল মাছ ধরছেন। শনিবার সকালে শ্যামপুর গ্রামের আশিকুর রহমান ৯ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ ধরেছেন। যা প্রতি কেজি ৮০০ টাকায় বিক্রি করেছেন।”
একই উপজেলার হামকুড়িয়া পশ্চিমপাড়ার মাছ শিকারি আব্দুল মালেক বলেন, শনিবার সকালে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের ৮ নম্বর ব্রিজ এলাকার একটি খাল থেকে ১০ কেজি ওজনের একটি ডিমওয়ালা বোয়াল মাছ ধরেছেন। সেই মাছ প্রতি কেজি ৮০০ টাকায় তিনিও বিক্রি করেছেন।
অন্যদিকে, চৌহালী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাজেদুল ইসলাম বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে আমরা ১০জন শখের বশে যমুনা নদীর খাষপুকুরিয়া এলাকায় আষাঢ়ের বোয়াল মাছ ধরতে গিয়েছিলাম।
“মাছ ধরার সরঞ্জামাদি জাল ও ছোরা নদীতে পাতার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৩ থেকে ৬ কেজি ওজনের ১০টি বোয়াল মাছ ধরেছি। যা পরবর্তীতে সবাই ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছি।”
চৌহালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানভীর হাসান মজুমদার বলেন, মৎস্য অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন নদ-নদীর মাছ সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এখন পর্যাপ্ত মাছ ধরা পড়ছে।
তবে শিকারিদের ডিমওয়ালা মা মাছ না ধরার জন্য পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।
তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশগুল আজাদ বলেন, মা মাছ ধরলে মাছের বংশ বৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ডিমওয়ালা মা মাছ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
মা মাছ নিধনের বিরুদ্ধে শীঘ্রই চলনবিল এলাকায় মৎস্য শিকারিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।