এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা হাসপাতালের পরিচালকের প্রত্যাহার দাবি করেছেন।
Published : 06 Jul 2024, 11:22 PM
রাসেলস ভাইপার সাপে কাটা রোগীর তথ্য ও বক্তব্য নিতে যাওয়া একটি বেসরকারি টেলিভশনের ক্যামেরা পারসনকে হাসপাতালে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা হাসপাতালের পরিচালকের প্রত্যাহার দাবি করেছেন।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দোতলার পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ গিয়ে ক্যামেরা পারসনকে উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগী শেখ নয়ন (৩১) ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ফরিদপুর প্রতিনিধি এস এম মাসুদুর রহমানের ক্যামেরা পারসন।
শেখ নয়ন বলেন, দুপুরে তিনি চরভদ্রাসন উপজেলায় রাসেলস ভাইপার সাপে কাটা একজন রোগীর ছবি ও তথ্য সংগ্রহে হাসপাতালে যান। সেখানে ছবি তোলা ও তথ্য সংগ্রহের সময় আনসার সদস্যরা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। ছবি তুলতে বাধা দেন এবং তার ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
একপর্যায়ে শেখ নয়নকে ওই ভবনের নিচ তলায় আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা আসাদুল্লাহ সুমনের কক্ষে নিয়ে আটকে রাখা হয়।
প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর বিকাল সাড়ে ৩টায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার এসআই শাহরিয়ার হাসপাতালে গিয়ে শেখ নয়নকে উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “হাসপাতালের ভেতরে যেকোনো ছবি নিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি প্রয়োজন হয়, সে সেই অনুমতি নেয়নি।”
সংরক্ষিত এলাকা ছাড়া ছবি নিতে অনুমতি প্রয়োজন হয় কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, “মন্ত্রণালয়ের নিষেধ আছে।”
এদিকে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফরিদপুরের সাংবাদিকরা।
ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম পিকুল জানান, এ ঘটনায় সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবে জরুরি সভা হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ দায়ীকে বিচার দাবি করা হয়।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, হাসপাতাল পরিচালকের বেপরোয়া আচরণের নিন্দা জানিয়ে তার প্রত্যাহার দাবি করা হয়েছে।
তারা জানান, বিষয়টি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদারকেও অবহিত করা হয়েছে। তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।