Published : 13 Aug 2023, 05:31 PM
বরিশালের গৌরনদীতে রাতে ‘দুই ব্যক্তির ধাওয়া খেয়ে’ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন যুবক। এর দুদিন পর তার লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
রোববার বেলা ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বিপুল হোসেন জানান।
কিন্তু কারা তাকে ধাওয়া দিয়েছিল, বিষয়টি পরিষ্কার নয়।
দুই সন্তানের জনক নিহত মো. সালাহ উদ্দিন প্যাদা (৩৫) উপজেলার দিয়াশুর এলাকার জব্বার প্যাদার ছেলে।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে গৌরনদী উপজেলার পালরদী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তিনি নিখোঁজ হন।
এক চা দোকানি জানান, রাতে নদীতে শব্দ শোনে টর্চ জ্বালানো হলে দুজন ব্যক্তি থানা থেকে এসেছেন জানিয়ে আলো বন্ধ করতে বলেন। পরে তিনি ভয়ে টর্চের আলো নিভিয়ে ফেলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী রুবেল আরও জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে একজন লোক নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে যাচ্ছে দেখে টর্চ লাইটের আলো জ্বালান। তখন দুই জন লোক বলেন- লাইট অফ কর। আমরা থানা থেকে এসেছি।
“তারা পুলিশ ছিল কিনা জানি না।”
ওই যুবকের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না বলে জানান গৌরনদী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইখতিয়ার হোসেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুক্রবার গভীর রাতে কারা যেন তাকে ধাওয়া দিয়েছে। তখন সালাহ উদ্দিন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন।”
সালাহ উদ্দিন প্যাদা পুলিশের ধাওয়ায় নদীতে ঝাঁপিয়ে নিখোঁজ হননি বলে দাবি করেন গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন।
গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার বিপুল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার রাতে দৌড়ে ‘খালে’ ঝাঁপ দিয়ে আর পাড়ে উঠতে পারেননি সালাহ উদ্দিন। খবর পেয়ে তাদের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। রাতে প্রাথমিক অনুসন্ধান করেও তার খোঁজ মেলেনি । পরে বরিশাল নদী স্টেশন থেকে ডুবুরি দল এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। কিন্তু তারাও খুঁজে পায়নি।
বিপুল হোসেন আরও জানান, রোববার বেলা ১১টার দিকে আড়িয়াল খাঁ নদীর মিয়ার চর এলাকায় ওই যুবকের লাশ ভেসে ওঠে। সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ওসি আফজাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সালাহ উদ্দিন যদি পুলিশের ধাওয়ায় নিখোঁজ হতো, তাহলে কেউ না কেউ আপনাদের কাছে বলতো। কারা ধাওয়া করছে, তিনি কীভাবে নদীতে পড়ছে, আমরা জানি না। তবে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”