বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের প্রশিক্ষণে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
Published : 12 Sep 2024, 01:04 AM
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রলীগের ১৩ নেতাকর্মীর ইন্টার্ন প্রশিক্ষণ স্থগিত করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
বুধবার বিকাল ৩টার দিকে হাসপাতালের পরিচালক ও ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
একইসঙ্গে ওই ১৩ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে সশরীরে হাজির হয়ে ওঠা অভিযোগ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
নোটিসে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান, আন্দোলন বানচালের উদ্দেশ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের অপরাজনীতিতে সক্রিয় অংশ নেওয়া, সাধারণ শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, ক্যাম্পাস ও তৎসংলগ্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, হোস্টেলে মাদক বাণিজ্য ও মাদক সেবনের অপরাধে হাসপাতালের ডিসিপ্লিনানি কমিটির এক জরুরি সভায় ওই ১৩ জনের ইর্ন্টান প্রশিক্ষণ স্থগিত করা হল।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হলেন- প্রতীক বিশ্বাস, লতিফুল কবির কৌশিক, সুনীতি কুমার, শামীম রেজা, নাইমুর রশীদ, মেহেদী হাসান রোমান, এটিবি রুবেল, ফায়াদুর রহমান আকাশ, কামরুল হাসান, আবু রায়হান, সাখাওয়াত হোসেন সিফাত, অর্নব কুন্ড এবং কাশফি তাবরিজ।
এর আগে সকালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করা একদল শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের ওই নেতাকর্মীদের শাস্তি দাবি করে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে যান।
তখন ছাত্রলীগ সমর্থিত অন্য একটি দল সেখানে হট্টগোল শুরু করে। এতে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সেনা সদস্য, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী মো. সৈকত।
হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আব্দুর রহিম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম বলেন, “অদ্ভুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পাঁচদিনের জন্য ১৩ জনের ইন্টার্নশিপ স্থগিত করা হয়েছে। তাদের কাছে যথাযথ ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”