দুপুরে থানা ভবনের নিজ কক্ষ থেকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় ওসির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
Published : 09 Jan 2025, 11:21 PM
শরীয়তপুরের জাজিরা থানার ওসি আল আমিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে থানা ভবনের নিজ কক্ষ থেকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঢাকা থেকে ফরেনসিক টিম এসে আলামত সংগ্রহের পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতাল মর্গে পাঠায় বলে জানান শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম।
আল আমিনের গ্রামের বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলায়। তার দুই স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। এক মেয়ে ঢাকায় একটি স্কুলে পড়াশোনা করে।
পুলিশ জানায়, দুপুরে জাজিরা থানার এসআই মো. আব্দুস সালাম ওসির কক্ষের দরজা খোলা, তবে চাপানো অবস্থায় দেখতে পান। তিনি দরজা ধাক্কা দিয়ে কক্ষের উত্তর পাশের জানালার গ্রিলের সঙ্গে ওসিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
জাজিরা থানা থেকে ওসির মরদেহ উদ্ধার
পরে এসআই সালাম বিষয়টি থানার ডিউটি অফিসারসহ অন্যদের জানান। থানা থেকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে খবর পাঠানো হয়। তারপর ঢাকা থেকে ফরেনসিক টিম এসে আলামত সংগ্রহ করে এবং লাশ নামিয়ে ঢাকায় পাঠায়।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. আশরাফ উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলামসহ পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত ওসি আল আমিনের ভায়রা-ভাই অ্যাডভোকেট আব্দুর রব বাবুল বলেন, “কয়েকদিন আগে স্ত্রী-সন্তানরা তার কর্মস্থল জাজিরায় বেড়াতে এসেছিল। তাদের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল। হয়ত হতাশা থেকেই সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।”
শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শেখ শরীফ-উজ জামান বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ফরেনসিক টিমকে জানাই। তারা এসে লাশ নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছে।
“পরিবার থেকে জানানো হয়, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাই হয়তো তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে।”