বাঁশবোঝাই ট্রাকে চাঁদাবাজির অভিযোগে ওই তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
Published : 20 Jan 2025, 08:48 PM
ফেনীতে সদরে ‘চা পানের জন্য ২০০ টাকা নিয়ে’ বিপাকে পড়েছেন তিন পুলিশ সদস্য। বাঁশবোঝাই ট্রাকে চাঁদাবাজির অভিযোগে এসআইসহ ওই তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার সকালে তাদের জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান ফেনী সদর মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা।
এর আগে রোববার মধ্যরাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়কে সদর উপজেলার পৌর শহরের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন দোয়েল চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- ফেনী সদর মডেল থানার অন্তর্গত শহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আবদুস শুক্কুর, কনস্টেবল জাহিদ এবং কনস্টেবল আনন্দ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার মধ্যরাতে ওই এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য আজিজুর রহমান রিজভী, সৌরভ হোসেন ও ইমরান হোসেনসহ কয়েকজন। এ সময় ওই স্থান দিয়ে বাঁশবোঝাই একটি ট্রাক অতিক্রম করছিল।
এ সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশার চালক ট্রাকটিকে থামার ইশারা দেন। ট্রাকটি থামলে অটোরিকশা চালক গাড়ি থেকে দুইশ টাকা গ্রহণ করে অটোরিকশায় থাকা পুলিশ সদস্যদের হাতে তুলে দেন।
ঘটনাটি পাশ থেকে দেখতে পান ছাত্ররা। তাৎক্ষণিক তারা সামনে এগিয়ে অটোরিকশা চালককে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি গাড়িতে থাকা পুলিশের নির্দেশে এমন কাজ করেছে বলে জানান। পরে তারা বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান।
এক পর্যায়ে বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানান ছাত্ররা। পরে ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ঘটনাস্থলে গিয়ে অটোরিকশা চালক, তিন পুলিশ সদস্য ও অভিযোগকারী ছাত্রদের থানায় ডেকে নেয়।
শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান রিজভী বলেন, “পুলিশের নির্দেশে অটোরিকশা চালক বাঁশবোঝাই ট্রাক চালকের কাছ থেকে চা পানের কথা বলে ২০০ টাকা নেন। বিষয়টি দেখে আমরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সহায়তা চাই।”
ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, ঘটনার রাতেই চাঁদাবাজির অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আপাতত ওই তিন পুলিশ সদস্য ফেনী জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত থাকবেন বলে জানান তিনি।
ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে তিন পুলিশ সদস্যের মধ্যে দুজনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।