ভুয়া ঋণ নথি তৈরি করে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দুই কোটি দুই লাখ ৪৭ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কৃষি ব্যাংকের সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার রাতে মামলাটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. রেজাউল করিম।
মামলায় আসামি করা হয়েছে কৃষি ব্যাংকের রাজবাড়ী জেলা শাখার সাবেক পরিদর্শক মো. রেজাউল হক (৪৩), সাবেক পরিদর্শক মো. মুর্তজা আলী (৪১), সাবেক পরিদর্শক মো. গোলাম গাউস (৬৫), সাবেক ব্যবস্থাপক মো. মইনুল ইসলাম (৬৩), সাবেক ব্যবস্থাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামান (৬৫), সাবেক ব্যবস্থাপক মো. সিদ্দিকুর রহমান (৬৮) এবং সাবেক ব্যবস্থাপক এস এম দেলোয়ার হোসেন (৬১)। তারা সবাই সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছেন।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রচলিত বিধিবিধান ও জেনারেল ব্যাংকিং ম্যানুয়াল লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজবাড়ী শাখায় গত ১ জুলাই ২০১৪ থেকে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত কর্মরত অবস্থায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যম রেকর্ডপত্র তৈরি করে মোট ৩৪৬টি ঋণ নথি সৃষ্টি করেন আসামিরা।
এরপর এর বিপরীতে মোট দুই কোটি ২০ লাখ ১৯ হাজার টাকা ঋণ প্রদানের প্রস্তাব/সুপারিশ করে ঋণ নথি ব্যবস্থাপকের মাধ্যমে মঞ্জুর করে বিভিন্ন গ্রাহকের নাম ব্যবহার করে ঋণ প্রদান ও উত্তোলন করেন।
এভাবে বিভিন্ন সময়ে ১৭ লাখ ৭১ হাজার ৮১৮ টাকা নিজেরাই জমা করে অবশিষ্ট দুই কোটি দুই লাখ ৪৭ হাজার ১৮২ টাকা অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজশে জমা না দিয়ে আত্মসাত ও আত্মসাতে সহায়তা করেন।
উপ-পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, ভুয়া ঋণ নথি তৈরি করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাত করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।