ইভিএমে ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ এনে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত মেয়র পদপ্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার ভবিষ্যতে এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
Published : 17 Jan 2022, 12:47 PM
নির্বাচনের একদিন পর সোমবার দুপুরে হাতি মার্কার স্বতন্ত্র এই প্রার্থী কয়েকটি টেলিভিশনকে বলেন, “সকল মানুষকে বলব, তারা যেন ইভিএমে ভোটে না যায়। আমি আগেও বলছি, ইভিএম একটা চুরির বাক্স, এখন বলতাছি এইটা ডাকাতির বাক্স।”
রোববার ভোটের সময় ইভিএমে ভোটগ্রহণে ‘স্লথ গতি’ এবং মেশিন অকেজো হওয়ার অভিযোগ এনে বলেন, “ভোটে মানুষ ছিল, কিন্তু ইভিএম মেশিন স্লো ছিল। এতই স্লো ছিল যে, ভোটার টানতে পারে নাই। মানুষ লাইনে দাঁড়াইয়া বিরক্ত হয়ে ভোটার স্লিপ ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে চলে গেছে।”
“অনেক জায়গায় হ্যাঙ হইয়া পইড়া ছিল, অনেক জায়গায় ওপেন হয় নাই।”
বিএনপির পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া তৈমুর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও দুইবারের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে প্রায় ৬৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরে যান।
নির্বাচনে আইভী পেয়েছেন এক লাখ ৫৯ হাজার ৯৭, আর তৈমুর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৬২ ভোট।
নির্বাচনের পর রাতে এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ভোটে পরাজয়ের কারণ হিসেবে ‘প্রশাসনিক ও ইভিএমের কারচুপির’ কথা বলেন তিনি।
সোমবারও তিনি একই অভিযোগ করে সব রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে বলেন, “আমি সকল রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করব, আপনারা যে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাননি, সেটা জাস্টিফায়েড।
“এই সরকারের অধীনে এবং ইভিএম দিয়ে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। গণভবন থেকে, বঙ্গভবন থেকে যার নামে টিপ দেবে সেই নির্বাচিত হবে।”