মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনসহ ফেরি উল্টে যাওয়ার ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মত উদ্ধার অভিযান চলছে।
Published : 28 Oct 2021, 11:58 AM
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে তাদের তল্লাশি স্থগিত রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা এবং ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে।
সকালে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের তিন ডুবুরি কাত হয়ে অর্ধেক নিমজ্জিত ফেরি শাহ আমানতের ভেতরে গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
দুর্ঘটনার সময় ফেরিতে ছিল ১৭টি ট্রাক, একটি প্রাইভেটকার ও আটটি মোটরসাইকেল। এর মধ্যে তিনটি গাড়ি ঘাটে নেমে যেতে পারলেও বাকি বাহনগুলো ফেরির সঙ্গেই নদীতে ডুবে যায়।
এর মধ্যে চারটি পণ্যবাহী ট্রাক ও পাঁচটি কভার্ড ভ্যান এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বলেন, “আজ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কারও মৃতদেহ পাওয়া যায়নি।”
দুর্ঘটনার খবর পোয়ে মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল বুধবার সকালেই তল্লাশি শুরু করে। এরপর ঘিওর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস থেকে আরেকটি উদ্ধারকারী দল তাদের সাথে যোগ দেয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ হামজার সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে কাত হয়ে থাকা ফেরি আশা আমানতকে। কিন্তু আটশ টনের ওই ফেরি সরানোর ক্ষমতা হামজার নেই।
বাংলাদেশের ইতিহাসের রো রো ফেরির এভাবে দুর্ঘটনা পড়া এটাই প্রথম বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম। তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, ডেনমার্ক থেকে আনা রো রো ফেরি শাহ আমানত বহরে যুক্ত হয় গত শতকের ৮০ এর দশকে। এর মেয়াদ অনেক আগেই ফুরিয়ে গেছে।
এ দুর্ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিসি, যার আহ্বায়ক করা হয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুলতান আব্দুল হামিদকে। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।