রো রো ফেরি শাহ আমানতকে বাঁধা হয়েছে হয়েছে হামজার সঙ্গে। তবে কাত হয়ে ফেরিটির মাঝে পানি ঢুকে ওজন বেড়ে যাওয়ায় উদ্ধার কাজে জটিলতার আভাস মিলছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ইতিমধ্যে ডুবে যাওয়া দুটি ট্রাক টেনে তুলেছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আলম।
“ফেরিটির ভেতরে পানি ঢুকে এটির ওজন হাজার টনের বেশি দাঁড়িয়েছে বলে ধারণা করা যায়। কিন্তু হামজার সক্ষমতা মাত্র ৬০ টন। হামজাকে দিয়ে কিভাবে ফেরিটিকে উদ্ধার করা যাবে সে বিষয়ে কর্মকর্তারা আলোচনা করছেন,” যোগ করেন তিনি।
বুধবার সকালের দুর্ঘটনার পর মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে যথারীতি ডাক পড়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জাহাজ হামজার।
নৌ দুর্ঘটনার পর ঘটনার শিকার জাহাজ উদ্ধারে বেশির ভাগ সময় দায়িত্ব পড়ে বিআইডব্লিউটিএ এর ওপর। কিন্তু সংস্থাটির উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ও হামজার ধারণক্ষমতা খুবই কম। এবারও দ্রুতই ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করেছে হামজা।
ঘটনাস্থলে এসে বিআইডব্লিউটিএ এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই আরিচা ঘাট থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত হামজা দুটি ট্রাক টেনে তুলতে সক্ষম হয়। কিন্তু মূল সমস্যাটা হচ্ছে ফেরিটিকে উদ্ধার করা।
ডুবে থাকা ট্রাকগুলোকে শনাক্ত করা গেছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ট্রাকগুলোতে দড়ি বাঁধার কাজ চলছে। এর মধ্যে দুটি ট্রাক টেনে তোলা হয়েছে হামজাকে দিয়ে।
উদ্ধার অভিযান দীর্ঘতর হতে পারে বলে আভাস দেন তিনি।
তবে এখন পর্যন্ত হতাহত বা নিখোঁজের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ নিখোঁজ আছেন বলে জানা যায়নি। ফেরির ভেতরে থাকা যানবাহনগুলোতে তল্লাশি এখনও চলছে।
পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা বলেছেন ওই ফেরিতে ১৭টি পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়াও কয়েকটি মোটর সাইকেল ও প্রাইভেট কার ছিল। ঘাটে ভেড়ার পর কয়েকটি গাড়ি নামতে পারলেও বাকিগুলো ফেরির সঙ্গেই ডুবে যায়। পরে কয়েকটি ট্রাক ও ভ্যানকে নদীতে ভাসতে দেখা গেছে।
ফেরির লোকজন ও ট্রাকচালকদের মতে, ফেরিতে ১৭টি ট্রাক, একটি কার ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ছিল। শুধু তিনটি ট্রাক নামতে পেরেছে।
ঘটনার পর, ঘাটের ট্রলার চালক ও বিআইডব্লিউটিসির ভাসমান কারখানার লোকজন ডুবন্ত ট্রাকচালক ও লোকজনকে উদ্ধার করেন। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কেউ নিখোঁজ আছেন এমন তথ্যও পাওয়া যায়নি।