মিয়ানমার থেকে নাফ নদী সাঁতরে কক্সবাজারের টেকনাফে এসেছে দুটি বন্য হাতি।
Published : 27 Jun 2021, 12:08 AM
শনিবার সন্ধ্যার দিকে হাতি দুটি উদ্ধার করে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের পাশে রাখা হয়েছে বলে জানান এ রেঞ্জের কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক আহমেদ।
‘মা হাতি দুইটির বয়স আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ বছর।’
আশিক আহমেদ বলেন, শনিবার বিকালে টেকনাফ সদরের জালিয়াপাড়া সংলগ্ন নাফ নদীর প্যারাবনে হঠাৎ দুটি হাতি দেখতে পান স্থানীয় লোকজন।
বনবিভাগে খবর দিলে দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক শহিদুল ইসলাম হাওলাদার, মো. মনিরুলজ্জামানসহ হাতি উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা প্যারাবনের চর দিয়ে হাতি দুটিকে হাঁটিয়ে বন বিভাগের পার্শ্ববর্তী বনাঞ্চলে আসতে বাধ্য করে।
হাতি দুটিকে কলা গাছসহ বিভিন্ন লতাপাতা খেতে দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “বনবিভাগের একটি দল হাতিগুলোকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে।"
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক বলেন, “মিয়ানমার থেকে সাঁতরে আসা হাতি দুটি নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করে প্যারাবনে অবস্থান নেয়। কয়েকজন লোক প্যারাবনের ভেতর নড়াচড়া দেখে সামনে এগিয়ে বিশাল আকারের হাতি দুটি দেখতে পায়।”
পরে বনবিভাগের কর্মীরা টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার ১ নম্বর স্লুইচ গেইট থেকে হাতি দু'টিকে নাইট্যংপাড়াস্থ টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয় সংলগ্ন বনাঞ্চলে নিয়ে গেছে বলে জানান স্থানীয় এ ইউপি সদস্য।
বনবিভাগের সংশ্লিষ্টদের ধারণা, খাদ্যের অভাবে ও বৃষ্টিসহ পাহাড়ি ঢলে হাতি দু'টি পানিতে ভেসে চলে আসতে পারে।